Episode 11643 words0 views

হত্যাকাণ্ডের রহস্য: দার্জিলিং, ১৯৬৫

দার্জিলিং, ১৯৬৪। কুয়াশা মোড়া পাহাড়, চা বাগানের সবুজ গালিচা, আর ব্রিটিশ আমলের পুরনো বাংলো – সব মিলিয়ে ছবির মতো সুন্দর। কিন্তু এই সৌন্দর্যের আড়ালেই লুকিয়ে ছিল এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড, যা শহরটাকে আজও তাড়া করে বেড়ায়। শরৎকাল। পর্যটকদের আনাগোনা কমে এসেছে, পাহাড় তার নিজের ছন্দে ফিরেছে। লাল ভিলা, শহরের একটু বাইরে, নিরিবিলি এলাকায় দাঁড়িয়ে। মালিক, অলোক রায়, একজন ধনী ব্যবসায়ী, তার স্ত্রী সুমিতা আর একমাত্র ছেলে Soumik-কে নিয়ে থাকতেন। অলোকবাবুর পৈতৃক সম্পত্তি ছিল এই লাল ভিলা, আর সেখানেই কেটেছিল তাঁদের কয়েক প্রজন্মের বাস। অলোক রায়ের বিশাল ব্যবসা ছিল, চা বাগান থেকে শুরু করে কাঠ এবং অন্যান্য অনেক লাভজনক খাতে তার বিনিয়োগ ছিল। শুধু স্থানীয় নয়, কলকাতা এবং অন্যান্য শহরেও তার ব্যবসা বিস্তৃত ছিল। অলোক রায় ছিলেন এক জটিল ধাঁধা। একদিকে তিনি ছিলেন সফল ব্যবসায়ী, অন্যদিকে তার ব্যক্তিগত জীবন ছিল নানা জটিলতায় ভরা। শোনা যায়, তার বিভিন্ন নারীর সাথে সম্পর্ক ছিল, এবং তার আর্থিক লেনদেন সবসময় পরিষ্কার ছিল না। রায় পরিবারের প্রতিপত্তি ছিল অসীম, কিন্তু তাদের অন্দরমহলে চাপা উত্তেজনা আর গোপন কথা লেগেই থাকত। একদিন সকালে, লাল ভিলার কর্মীরা ভয়ানক দৃশ্য দেখল। অলোকবাবুর রক্তাপ্লুত দেহ তাঁর study-তে পড়ে, আর ঘরের জিনিসপত্র লন্ডভন্ড। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, খুনি শুধু খুন করতেই আসেনি, কিছু খুঁজেও ছিল। খবর পেয়ে ছুটে এলেন ইন্সপেক্টর সমর সেন, পাহাড়ি অঞ্চলের অভিজ্ঞ পুলিশ অফিসার। ইন্সপেক্টর সমর সেন, প্রায় মধ্যবয়সী, লম্বা এবং তীক্ষ্ণ দৃষ্টির অধিকারী ছিলেন। পাহাড়ে কাজের অভিজ্ঞতা থাকায় তিনি স্থানীয় সংস্কৃতি এবং মানুষের মন বেশ ভালো করেই বুঝতেন। তার শান্ত কিন্তু দৃঢ় ব্যক্তিত্বের জন্য তিনি দ্রুত মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পারতেন। সমর সেন তার কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান ছিলেন এবং সত্য উদঘাটনে কোনোকিছুই তাকে আটকাতে পারত না। সমরবাবু লাল ভিলার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলেন। মালতী, পুরনো দিনের কাজের লোক, জানালো রাতে একটা ধস্তাধস্তির আওয়াজ সে শুনেছিল, কিন্তু ভয় পেয়ে ঘর থেকে বের হয়নি। মালতী প্রায় ২০ বছর ধরে রায় বাড়িতে কাজ করছে, এবং তার বিশ্বস্ততা নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না। সে অলোকবাবুর মা-এর আমল থেকে এই বাড়িতে, তাই পরিবারের অনেক গোপন কথা তার জানা। মালতী জানায়, অলোকবাবুর মা তাকে নিজের মেয়ের মতো দেখতেন, এবং সেই কারণেই সে আজও এই বাড়িতে আছে। মালি রামলাল জানালো, সে ভোরে বাগান পরিষ্কার করার সময় বাড়ির পেছনের দরজা খোলা দেখেছিল, যেটা সাধারণত বন্ধ থাকে। রামলাল বেশ শান্ত প্রকৃতির মানুষ, নিজের কাজ ছাড়া অন্য কিছুতে তার তেমন আগ্রহ নেই। তবে তার চোখ এড়ায় এমন ঘটনা খুব কমই ঘটে। রামলাল জানায়, সে রাতে অদ্ভুত ছায়া দেখেছে এবং একটা চাপা গোঙানির শব্দ শুনেছে। অলোকবাবুর স্ত্রী সুমিতা দেবী ছিলেন বিধ্বস্ত। তিনি জানালেন, রাতে তারা একসাথে খাবার খেয়েছিলেন, তারপর অলোকবাবু তাঁর study-তে যান কিছু জরুরি কাজ সারতে। Soumik, তাদের ছেলে, নিজের ঘরে ছিল। সুমিতা দেবীর কথা অনুযায়ী, তাদের পরিবারে তেমন কোনো শত্রু ছিল না, আর তারা শান্তিতেই জীবন কাটাচ্ছিলেন। সুমিতা দেবী ছিলেন শান্ত এবং ধীর স্থির স্বভাবের, কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি একেবারে ভেঙে পড়েছেন। তার চোখ মুখ দেখে মনে হচ্ছিলো তিনি যেনো বহু বছর ধরে কোনো গভীর শোক বহন করছেন। সুমিতা দেবী জানান, বিয়ের আগে তিনি সংগীতের ছাত্রী ছিলেন, কিন্তু রায় বাড়িতে এসে তিনি তার শখ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। কিন্তু সমরবাবু জানতেন, বাইরে থেকে সবকিছু শান্ত দেখালেও, ভেতরে অনেক ঝড় লুকিয়ে থাকতে পারে। তিনি অলোকবাবুর ব্যবসায়িক লেনদেন খতিয়ে দেখতে শুরু করলেন। জানা গেল, সম্প্রতি তিনি একটা বড় deal-এ অনেক টাকা হারিয়েছেন, এবং তার জন্য ঋণের দায়ে জর্জরিত ছিলেন। সমরবাবুর মনে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করলো। অলোক রায়ের বিশাল ব্যবসা এবং প্রতিপত্তি ছিল, কিন্তু তার আড়ালে অনেক গোপন শত্রু তৈরি হয়েছিল, যাদের খবর হয়তো কেউই রাখেনি। সমরবাবু জানতে পারেন, অলোক রায় গোপনে অনেক বেআইনি ব্যবসায় জড়িত ছিলেন, যা তার সম্মানীয় জীবনের সাথে মেলে না। তদন্ত যত এগোতে থাকলো, ততই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসতে শুরু করলো। অলোকবাবুর bank account-এ কিছু অস্বাভাবিক লেনদেন দেখা গেল। আর একটা পুরোনো ডায়েরি থেকে জানা গেল, তার একসময় দেবজানি নামের এক মহিলার সাথে গভীর সম্পর্ক ছিল, যা একটা তিক্ত পরিণতিতে শেষ হয়েছিল। দেবজানির এখনকার পরিচয় জানার চেষ্টা করলেন সমরবাবু। দেবজানির সাথে অলোকবাবুর সম্পর্ক অনেক পুরোনো, তাদের কলেজ জীবন থেকেই ঘনিষ্ঠতা ছিল। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তাদের পথে নানান বাধা আসে এবং তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। সমরবাবু জানতে পারেন দেবজানি এখন শহরের বাইরে থাকে এবং এক Charity চালায়। দেবজানি এখন সমাজের জন্য কাজ করে, কিন্তু তার অতীত তাকে আজও তাড়া করে বেড়ায়। দেবজানি জানায়, অলোক তার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে এবং সে কখনোই তাকে ক্ষমা করতে পারবে না। এরই মধ্যে, লাল ভিলার পেছনের বাগান থেকে একটা রক্তাক্ত ছুরি উদ্ধার হলো। সেটা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলো, আর সমরবাবু আশায় রইলেন কোনো ফিঙ্গারপ্রিন্ট-এর। ছুরিটা পাওয়ার পরে, খুনের মোটিভ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠলো – এটা শুধুমাত্র রাগের বশে করা খুন নয়, এর পেছনে ছিল লোভ আর প্রতিশোধের জটিল খেলা। সমরবাবু তার team-কে নির্দেশ দিলেন বাগানটি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে, কারণ খুনি পালিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে কিছু ফেলে যেতে পারে। তারা একটা পোড়া সিগারেটের টুকরো খুঁজে পায়, যা সাধারণ নয়। সিগারেটের ফিল্টারে একটা বিশেষ লিপস্টিকের দাগ ছিল, যা সাধারণত স্থানীয় মহিলারা ব্যবহার করেন না। সমরবাবু এবার সুমিতা দেবীর দিকে নজর দিলেন। তিনি জানতে পারলেন, সুমিতা দেবী তার স্বামীর আর্থিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন, এবং তাদের মধ্যে প্রায়ই এই নিয়ে ঝগড়া হতো। Soumik, অলোকবাবুর ছেলে, ছিল শান্ত স্বভাবের, কিন্তু তার বাবার সাথে তার সম্পর্কটা খুব একটা ভালো ছিল না। সমরবাবু তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে শুরু করলেন। Soumik তার বাবার ব্যবসায় তেমন আগ্রহী ছিল না, সে ছবি আঁকতে ভালোবাসতো এবং একজন শিল্পী হতে চাইতো। এই নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই মতবিরোধ হতো। Soumik এর কিছু অদ্ভুত বন্ধু ছিল, যাদের সাথে সে প্রায়ই গভীর রাত পর্যন্ত গল্প করতো। Soumik জানায়, তার বাবার সাথে তার আদর্শগত পার্থক্য ছিল, কিন্তু সে কখনোই তার ক্ষতি করতে চাইত না। তদন্তের মোড় ঘুরলো যখন জানা গেল, অলোকবাবুর হারানো deal-এর পেছনে আসলে একটা বড়সড় ষড়যন্ত্র ছিল। তার business partner, রজত সেন, ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ঠকিয়েছিল, এবং প্রচুর টাকার মালিক হয়েছিল। রজত সেন-কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য কলকাতায় লোক পাঠালেন সমরবাবু। রজত সেন একজন ধূর্ত এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্যবসায়ী, যে যে কোনো মূল্যে সাফল্য পেতে চায়। তার অনেক রাজনৈতিক যোগাযোগও ছিল, যা তাকে আইনের হাত থেকে বাঁচাতে পারতো। রজত সেন জানায়, অলোকবাবুও অনেক বেআইনি কাজ করতেন এবং তিনি শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ দেখতেন। কিছুদিনের মধ্যেই রজত সেন ধরা পড়লো, এবং সে অলোকবাবুকে ঠকানোর কথা স্বীকার করলো। কিন্তু খুনের ব্যাপারে সে কিছুই জানে না বলে জানালো। সমরবাবু বুঝলেন, খুনি অন্য কেউ, যে এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। রজত জানায়, সে অলোকবাবুর দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু খুন করার মতো সাহস তার নেই। তবে সে স্বীকার করে যে তাদের মধ্যে প্রায়ই টাকার লেনদেন নিয়ে কথা কাটাকাটি হতো। রজত সেন জানান, অলোকবাবুর মৃত্যুর খবর শুনে তিনি প্রথমে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন, কারণ তিনি মনে করেছিলেন এবার তিনি ব্যবসাটা পুরোপুরি নিজের করে নিতে পারবেন। এদিকে, ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে জানা গেল, উদ্ধার হওয়া ছুরিতে অলোকবাবুর এবং অন্য একজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেছে। কিন্তু সেটা রজত সেন-এর নয়। সমরবাবুর মনে আবার নতুন করে সন্দেহের মেঘ জমতে শুরু করলো। সমরবাবু ভাবেন, যদি রজত খুন না করে থাকে, তবে খুনি কে? নিশ্চয়ই তাদের খুব কাছের কেউ এই কাজ করেছে। তিনি লাল ভিলার কর্মীদের আবার জিজ্ঞাসাবাদ করেন, কিন্তু তারা নতুন কিছু বলতে পারে না। মালতী জানায়, ঘটনার রাতে সে একটি মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনেছিল, কিন্তু সে ভয়ে ঘর থেকে বের হয়নি। একদিন রাতে, লাল ভিলার কাছেই একটা পুরোনো মন্দির থেকে একটা লোক ছুটে পালাতে গিয়ে ধরা পড়লো। লোকটার নাম বিনয়, এবং সে একসময় অলোকবাবুর company-তে কাজ করতো। বিনয়কে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আসল রহস্যটা বেরিয়ে এলো। বিনয় জানায়, ঘটনার দিন সে লাল ভিলার পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকেছিল অলোকবাবুর সাথে তার বকেয়া বেতন নিয়ে কথা বলতে। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে রাগের মাথায় বিনয় অলোকবাবুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। বিনয় জানালো, অলোকবাবু তাকে মিথ্যে অভিযোগে চাকরি থেকে তাড়িয়েছিলেন, এবং তার জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছিলেন। সে অনেকদিন ধরে প্রতিশোধের সুযোগ খুঁজছিল। ঘটনার রাতে, সে লাল ভিলার পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে অলোকবাবুর সাথে কথা বলতে যায়। কথা কাটাকাটির সময়, সে রাগের মাথায় ছুরি দিয়ে অলোকবাবুকে আঘাত করে। এরপর সে প্রমাণ লোপাট করার জন্য ঘরের জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করে পালিয়ে যায়। বিনয় জানায়, তার কোনো অনুশোচনা নেই, কারণ অলোকবাবু তার জীবনটা শেষ করে দিয়েছিলেন। তবে, বিনয় জানায় সে চুরি করতে আসেনি। বিনয়ের স্বীকারোক্তির পর, খুনের রহস্যের পর্দা উঠল। জানা গেল, এটা কোনো পূর্বপরিকল্পিত ডাকাতি ছিল না, বরং এক দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। সমরবাবু হাঁফ ছাড়লেন, অবশেষে অলোকবাবুর আত্মা শান্তি পেল। সমরবাবু বিনয়ের চোখে কোনো অনুশোচনা দেখতে পান না, বরং সেখানে একটা অদ্ভুত তৃপ্তি দেখতে পান। তবে, সমরবাবুর মনে এখনও খটকা ছিল। ঘরের জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করা এবং মূল্যবান জিনিসপত্রের নিখোঁজ হওয়া – এই বিষয়গুলো কিছু অন্য কথা বলে। তিনি আবার প্রথম থেকে তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলেন। সমরবাবু জানতে পারেন, অলোকবাবুর একটি গোপন লকার ছিল, যার কথা পরিবারও জানত না। লকারটি খুঁজতে তিনি লাল ভিলার প্রতিটি কোণ তন্নতন্ন করে খোঁজেন। শেষ পর্যন্ত, সমরবাবু লকারটি খুঁজে পান অলোকবাবুর study-র একটি গোপন তাকে। লকার খোলার পর, তিনি সেখানে কিছু মূল্যবান গয়না, দলিল এবং একটি লাল ডায়েরি পান। ডায়েরিটি খুলতেই সমরবাবুর চোখ আটকে যায় একটি বিশেষ পৃষ্ঠায়। সেখানে দেবজানির সাথে অলোকবাবুর সম্পর্কের বিস্তারিত বিবরণ ছিল, এবং সেই সম্পর্কে একটি অপ্রত্যাশিত মোড় ছিল। সমরবাবু জানতে পারেন, দেবজানি এবং অলোকবাবুর একটি সন্তান ছিল, যার নাম ছিল দীপ। অলোকবাবু প্রথমে এই সম্পর্ক মানতে চাননি, কিন্তু পরে তিনি গোপনে দেবজানিকে অর্থ সাহায্য করতেন। সমরবাবু দেবজানির সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দেবজানি জানান, তিনি তার ছেলের ভবিষ্যতের জন্য চিন্তিত ছিলেন, কিন্তু তিনি খুনের সাথে জড়িত নন। তিনি জানান, অলোকবাবুর মৃত্যুর খবর শুনে তিনি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। তদন্তের গভীরে গিয়ে, সমরবাবু জানতে পারেন যে Soumik আসলে অলোকবাবুর অবৈধ সন্তান। এই সত্য জানার পর, Soumik তার বাবার প্রতি তীব্র ক্ষোভ পোষণ করত। সে মনে করত, তার বাবা তার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। সমরবাবু Soumik-এর বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং জানতে পারেন যে সে সম্প্রতি খুব বেপরোয়া হয়ে গিয়েছিল। সমরবাবু Soumik-কে থানায় ডেকে পাঠান এবং তাকে কিছু কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি করেন। প্রথমে Soumik ভেঙে পড়ে এবং জানায়, সে তার বাবাকে খুন করেনি। কিন্তু পরে, সে স্বীকার করে যে সে রাগের বশে তার বাবার সাথে ঝগড়া করেছিল এবং তাকে ধাক্কা দিয়েছিল। ধাক্কার ফলে অলোকবাবু পড়ে যান এবং তার মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। Soumik জানায়, সে ভয় পেয়ে গিয়েছিল এবং ঘর থেকে পালিয়ে যায়। তবে, সমরবাবু তখনও নিশ্চিত নন। তিনি মনে করেন, Soumik হয়তো পুরোটা বলছে না। তিনি আরও গভীরে যেতে চান এবং সত্য উদঘাটন করতে চান। লাল ভিলার সেই রাতের ঘটনা Darjeeling-এর ইতিহাসে একটা কালো দাগ রেখে গেল। কুয়াশার চাদরে মোড়া পাহাড় আজও সেই রাতের নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

Share this story

Comments

Discussion

No comments

Please sign in to join the discussion