১৯৭০ সাল। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ছায়া তখন পূর্ব বাংলায় ঘনিয়ে এসেছে। রাজনৈতিক টানাপোড়েন, সামাজিক অস্থিরতা, এবং এক গভীর অনিশ্চয়তার সময়কাল। এই অস্থির সময়েই ঘটে যায় এক রহস্যময় চুরি — কলকাতার এক অভিজাত পরিবার ‘রায়চৌধুরী’দের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রত্নভাণ্ডার থেকে রাতের অন্ধকারে হঠাৎই উধাও হয়ে যায় একটি অমূল্য বস্তু — একটি ১১তম শতকের পাল বংশের তৈরি ‘মুক্তাহার’।
এই কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছেন একজন তরুণ সাংবাদিক, অনির্বাণ বসু, যিনি হঠাৎ করেই জড়িয়ে পড়ে যান এই চুরির পেছনের অদৃশ্য জালে। পুলিশের ব্যর্থতা, সমাজের উচ্চবিত্ত শ্রেণীর দ্বিচারিতা, আর ইতিহাসের গোপন ছায়া মিলিয়ে গড়ে ওঠে এক চাঞ্চল্যকর থ্রিলার।
নভেম্বর ১৯৭০। কলকাতার আকাশ তখন ধোঁয়াটে। শহরের রাস্তাগুলো নিস্তব্ধ, মাঝে মাঝে ট্রামের ঘণ্টার শব্দ ভেসে আসে কুয়াশার চাদরের ভিতর থেকে। চারিদিকে একটা অজানা অস্থিরতা, যেন কিছুর প্রতীক্ষা করছে শহরটা।
অনির্বাণ বসু তখন সদ্য ‘দৈনিক যুগবার্তা’ পত্রিকায় নিয়োগ পেয়েছেন। বয়স তেইশ, চোখে আগুন, অন্তরে আগ্রহ। তিনি অন্য সাংবাদিকদের মতো শুধুই খবরের খোঁজে নয়, সত্যের খোঁজে থাকেন। প্রথম থেকেই তার একটা দুর্বলতা ছিল—রহস্য। হোক তা খুন, চুরি, কিংবা নিখোঁজ, তার মধ্যে একটা অদ্ভুত আকর্ষণ ছিল অনির্বাণের।
সেদিন সন্ধ্যায় অফিসে বসে চা খাচ্ছিলেন, এমন সময় ফোনটা বেজে ওঠে। ফোন তুলতেই কণ্ঠস্বরের ভঙ্গি জানিয়ে দিল, খবরটা বড়ো।
— “বসু বাবু, সল্টলেকের রায়চৌধুরী বাড়িতে চুরি হয়েছে। আপনি একবার আসতে পারেন কি? পুলিশ তো এসেছে, কিন্তু আপনি থাকলে ভালো হয়।”
ফোন রেখেই অনির্বাণ ক্যামেরাম্যান তুষারকে ডেকে নেন।
— “চলো, আজকের রাতটা ঝালমুড়ি-চা নয়, রাজবাড়ির রহস্য।”
সল্টলেক তখনো শহরের এক ধনী এলাকার নাম। সেখানকার রাজবাড়ি সদৃশ প্রাসাদ রায়চৌধুরী ভবন, একদা জমিদার বাড়ি, এখনো ঐতিহ্য বহন করে।
অনির্বাণ আর তুষার বাড়িতে পৌঁছালে দেখে, মূল ফটকে সশস্ত্র দারোয়ান, পুলিশ কিছুটা উদাসীন ভাবে প্রাথমিক তদন্ত সারছে। ভিতরে প্রবেশ করতেই গন্ধে বোঝা যায়, এখানে ইতিহাসের ছোঁয়া আছে।
দেবেশ রায়চৌধুরী বসে ছিলেন ড্রয়িংরুমে, পাশে মেয়ে সোনালি। চোখে ক্লান্তি, কিন্তু গলায় গর্ব—“আপনারা সাংবাদিক? ঠিকই করেছেন আসতে। পুলিশ কিছুই করতে পারবে না।”
পাশে বসে ছিলেন রঞ্জন রায়চৌধুরী, ভাইপো। তার মুখে উদ্বেগ ছিল, কিন্তু চোখের চাউনি যেন লুকোচুরি খেলছে।
“চুরি হয়েছে আমাদের মুক্তাহার। পাল বংশের রাজা ধর্মপালের সময়ের তৈরি, একটিমাত্র মুক্তা দিয়ে তৈরি হার। আমার প্রপিতামহী এটি পেয়েছিলেন নবদ্বীপের রাজসভা থেকে। এ জিনিসের আর একটাই প্রতিলিপি আছে—লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে।”
অনির্বাণ বুঝে গেল, এই চুরি শুধু সম্পত্তি নয়, উত্তরাধিকার আর আত্মপরিচয়ের ওপরেও আঘাত।
রায়চৌধুরী পরিবারের ইতিহাস শুনলে বোঝা যায়, একসময় এরা কতোটা ক্ষমতাশালী ছিল। জমিদারি চলে গেলেও জমিদারির দম্ভ আজও আছে।
দেবেশবাবু একজন প্রাক্তন আইনজীবী, কলকাতা হাইকোর্টে কাজ করতেন। স্বাধীনতার পর থেকে ধীরে ধীরে রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেছেন। স্ত্রী দীর্ঘদিন আগেই প্রয়াত। একমাত্র কন্যা সোনালি, প্রেসিডেন্সি কলেজে ইতিহাসে পড়াশোনা করছেন, ইংরেজি এবং সংস্কৃত দুই ভাষাতেই পারদর্শী। তিনি অত্যন্ত আধুনিক, তবু বাবার ঐতিহ্যের প্রতি তার গর্ব অটুট।
রঞ্জন, দেবেশবাবুর মৃত ভাইয়ের ছেলে, বাইরের চাকরি করতে পারেনি। বাড়ির মধ্যেই থাকেন, এবং কিছুটা চাপা স্বভাবের। কিন্তু তার দৃষ্টিতে ছিল এক অস্থিরতা, যা অনির্বাণের নজর এড়ায়নি।
চুরি যেদিন ঘটে, বাড়িতে মাত্র কয়েকজন কর্মচারী ছিল—দুই জন পুরোনো দারোয়ান, এক পাচক, ও এক মালী। প্রত্যেকেই বহু বছর ধরে কাজ করছে।
অনির্বাণ এদের সবার সঙ্গে কথা বলে। সবার বক্তব্যই মোটামুটি এক — “রাত্রি ন’টার পর কেউ কিছু টের পায়নি। দরজা জানালা বন্ধ ছিল, আর মুক্তাহারটি রাখা ছিল কাঠের আলমারির ভিতরে, যেটা কেবল দেবেশবাবুই খুলতেন।”
তবে এক অদ্ভুত তথ্য বের হয় — আলমারির চাবি কোনদিন কোথাও রাখা হয় না। এটি সব সময় দেবেশবাবুর সাথে থাকে। তাহলে চোর কীভাবে জানত, কীভাবে খোলা যাবে?
সোনালি এক সময় অনির্বাণকে বলেন—
“আসলে বাড়ির কেউ না জানলে এটা সম্ভব নয়। এই হার নিয়ে আমাদের পরিবারের এক গোপন ইতিহাস আছে। আর সেটাই হয়তো কাউকে আকৃষ্ট করেছে।”
তার চোখে একটা অনির্বচনীয় দৃষ্টি ছিল — মিশ্র আশঙ্কা আর সন্দেহ।
রায়চৌধুরী ভবনের দীর্ঘ করিডোর পেরিয়ে যখন অনির্বাণ দেবেশবাবুর ব্যক্তিগত সংগ্রহালয়ে ঢুকে পড়ল, তখন রাত দেড়টা। বারান্দা থেকে ভেসে আসছে নিশুতি রাতের শীতল বাতাস, যেন ইতিহাসের পাতাগুলোও কাঁপছে।
আলমারির নিচে জমে থাকা ধুলোতেও যেন গোপন সত্যের ছায়া। হঠাৎই অনির্বাণের নজরে পড়ে — একটি পুরনো চন্দ্রকান্তা-পাঠ সিরিজের বই মেঝেতে উল্টে পড়ে আছে। পাতা খোলা — এক জায়গায় কালো কালি দিয়ে গোল করে চিহ্ন দেওয়া একটি বাক্য:
“অমাবস্যার রাতই গোপন কাজের শ্রেষ্ঠ সময়।”
এটা কি নিছকই কাকতালীয়? নাকি কোনো ইঙ্গিত?
রুমে প্রবেশ করে সোনালি ধীরে বলল, “এই বইটা ও পড়ছিল… প্রফেসর সেন। তিনি প্রায়ই বলতেন, ইতিহাস কখনো মরে না, শুধু তার আকার বদলে যায়।”
ততক্ষণে অনির্বাণ খুঁজে পেয়েছে এক পুরনো স্টিলের সিগারেট কেস, তাতে লেখা “B.G.” — খুব সম্ভবত বাদল ঘোষ। তবে ঘরে বাদলের প্রবেশ কীভাবে সম্ভব?
বাড়ির দারোয়ান বলে, “সেদিন সন্ধ্যায় একজন ‘দেবু মশাই’র পরিচিত বলে ঢুকেছিলেন, উনি কালো কোট পরে ছিলেন… মুখে গোঁফ, কানে হালকা অ্যাংলো অ্যাকসেন্ট।”
অনির্বাণ বুঝে যায়, এই লোকটা ভদ্রবেশী চোর — হয়তো ভুয়া পরিচয়ে এসেছিল।
বাইরের লোক কি একা এই কাজ করতে পারে? নাকি কারো সহযোগিতা ছাড়া এটা অসম্ভব?
রায়চৌধুরী পরিবারে তখন দুটো ছায়া — এক, বাড়ির ঐতিহ্য; আরেক, বিশ্বাসঘাতকতা।
পরদিন সকালে অনির্বাণ হাজির হয় কলেজ স্ট্রীটের এক পুরনো বইয়ের দোকানে। সেখানকার মালিক, গগনবাবু, একসময় বাদল ঘোষের সঙ্গেও কাজ করতেন। তিনি বলেন:
“বাদল এখন আগের মতো নেই, এখন সে শুধু দালাল। আসল মাথাগুলো অন্য — বিশেষ করে বিদেশি দূতাবাসে যেসব লোক কাজ করে, তারা অনেক সময় ঐতিহ্যবাহী জিনিস গোপনে পাচার করে।”
অনির্বাণ জানতে পারে, বাদলের লালবাজারে গোপন এক গুদামঘর আছে, যেখানে সে সংগ্রহ করে শিল্পকর্ম। সেদিন রাতেই, সে আর তুষার ওই গুদামে হানা দেয়।
ভেতরে যেন এক নীরব জাদুঘর — ব্রোঞ্জের প্রতিমা, পাথরের মূর্তি, এবং একটি কালো কাঠের বাক্সে রাখা কিছু গয়না। হঠাৎ তাদের পায়ের নিচে ঠোকা লাগে — একটি পুরনো ক্যামেরার নেগেটিভ রোল।
অনির্বাণ সেটা সঙ্গে নিয়ে ফটোক্লাবে ডেভেলপ করায়। ছবিতে দেখা যায় — রায়চৌধুরী ভবনের সেই মুক্তাহার, কারও হাতে ধরা, পেছনে আধাআধি ছায়ায় দেখা যাচ্ছে একজন — মুখটা পুরো স্পষ্ট নয়, তবে চোখের ভাষা চেনা চেনা।
ফিরে এসে অনির্বাণ আবার রঞ্জনের গতিবিধি লক্ষ্য করে। সে প্রায়ই রাতে সোনারপুরে যায়, একটি পুরনো ভাঙা বাংলোতে। সেখানে গিয়ে দেখে, রঞ্জন বাদলের এক সহযোগী ‘মাধব দাস’-এর সঙ্গে লেনদেন করছে।
রঞ্জন ধরা পড়ে। প্রথমে কিছু বলতে চায় না, কিন্তু অনির্বাণের কথায় ভেঙে পড়ে।
“আমি করিনি, তবে হ্যাঁ, বাদল বলেছিল — সে এক বিশেষ লোকের হয়ে কাজ করে। আমি শুধু দরজা খোলা রেখেছিলাম… আমার ঋণ ছিল অনার্স পাশ করার পর থেকে… কিছু একটা করতে হতো।”
রঞ্জনের চোখে জল। তবু অনির্বাণ বুঝতে পারে, সে ছিল কেবল একটা পুতুল।
রঞ্জনের স্বীকারোক্তির পর রায়চৌধুরী বাড়িতে যেন শোকের ছায়া নেমে আসে। দেবেশবাবু চুপচাপ বইয়ের তাকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, চোখের কোণে অশ্রু।
তিনি বললেন—
“আমার পরিবারের মানুষই যখন বিশ্বাসঘাতকতা করে, তখন বাইরের দোষ দিয়ে কী হবে?”
তবে অনির্বাণ জানে, সবটা এখানেই শেষ নয়। রঞ্জন মাত্র একটি মাধ্যম। মূল ষড়যন্ত্র আরও গভীরে।
রাত্রে সে আবার যায় সেই পুরনো বাংলোতে, যেখানে রঞ্জন বাদলের লোকের সঙ্গে দেখা করছিল। সেদিন সেখানে আরেকজন আসে — এক সুসজ্জিত মানুষ, গাড়ি থেকে নামলেন ধীর পায়ে, হাতে রোলেক্স ঘড়ি।
তুষার গোপনে ছবি তোলে। পরে জানতে পারে লোকটির নাম বিশ্বজিৎ মিত্র, একজন শিল্প সংগ্রাহক, এবং মাঝে মাঝে বিদেশি দূতাবাসের ‘কালচারাল অ্যাফেয়ার্স’ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। কিন্তু এসবই ছিল মুখোশ।
মূলত তিনি কলকাতার কালোবাজারি শিল্পচোরাচালানের মাথা। বাদল তার হয়ে কাজ করে, আর স্থানীয় দুর্বলদের ব্যবহার করে চোরাই জিনিসের হদিশ পায়।
অনির্বাণ বুঝে যায়, এই চুরির পিছনে ঐতিহ্য নয়, অর্থ এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র জড়িয়ে আছে।
পরদিন সে বিশ্বজিতের অফিসে যায় সাংবাদিক হিসেবে, গোপনে রেকর্ডার চালু রেখে প্রশ্ন করে—
“আপনি কি মনে করেন, ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্ম বাইরে গিয়ে তার মর্যাদা পায়?”
বিশ্বজিৎ মৃদু হেসে বলেন—
“মর্যাদা শুধু ঘরেই নয়, জায়গা আর চর্চাতেও আসে। অনেক কিছুই এখানকার লোক বুঝতে পারে না।”
এই কথার মধ্যে ছিল অহংকার আর এক ধরনের ধোঁয়াশা।
সোনালি সেই রাতে অনির্বাণকে তার মায়ের পুরনো চিঠিগুলো দেখায়। তার মা, বিভা রায়চৌধুরী, একসময় শান্তিনিকেতনের শিল্পচর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং কিছু মূল্যবান বস্তু একসময় ব্রিটিশদের চোখে পড়ে।
একটি চিঠিতে লেখা ছিল—
“মুক্তাহারের ইতিহাস অনন্য। এই হার শুধু গয়না নয়, পাল রাজবংশের শেষ সম্রাট রামপালের আশীর্বাদধারী… হারটির অভ্যন্তরে লুকানো আছে একটি পুঁতি, যার মধ্যে স্বর্ণাক্ষরে লেখা এক শ্লোক — দেবীর নামে একটি গোপন মন্ত্র।”
এই তথ্য জানলে, হারের মূল্য আরও বেড়ে যায়। এখন আর এটা শুধু গয়না নয় — একটি সম্ভাব্য ধর্মীয় বা ঐতিহাসিক নিদর্শন।
সোনালি ধীরে বলে,
“আমার মা বলতেন, যারা হারটি নেবে, তারা শুধু ধন চায় না — তারা ইতিহাসকে নিজেদের মতো সাজাতে চায়।”
এই কথা শুনে অনির্বাণ নিশ্চিত হয়, হার এখন কলকাতায় নেই। সম্ভবত, এটি পাচার করার প্রস্তুতি চলছে।
সে যোগাযোগ করে লালবাজার থানার অফিসার সুরেশ দত্তর সঙ্গে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে আগ্রহী না হলেও অনির্বাণের তথ্যপ্রমাণ এবং বিশ্বজিতের বিদেশি কানেকশন দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত তারা চক্রটি ধরতে সম্মত হয়।
বিশ্বজিতের লোকেরা মুক্তাহার নিয়ে যাচ্ছে হাওড়া ব্রিজ পার হয়ে এক লঞ্চে, উদ্দেশ্য — বাংলাদেশের এক শিল্প নিলামঘর। পুলিশের সহযোগিতায় অনির্বাণ ও তুষার গোপনে লঞ্চে প্রবেশ করে।
তাদের সঙ্গে ছিলেন ইনস্পেক্টর দত্ত। মাঝনদীতে পৌঁছালে শুরু হয় চূড়ান্ত অভিযান। বন্দুকের আওয়াজ, ধাওয়া, চিৎকারের মধ্যে হঠাৎ করেই এক গোপন কেবিন থেকে উদ্ধার হয় কাঠের বাক্স — ভেতরে মুক্তাহার। বিশ্বজিৎ ধরা পড়ে, মুখ নিচু করে শুধু বলে, “আমি ইতিহাস ভালোবাসতাম, ওকে আটকে রাখতে চেয়েছিলাম না।”
দেবেশ রায়চৌধুরীর হাতে যখন আবার মুক্তাহার পৌঁছায়, তার চোখে জল।
তিনি বলেন, “তোমার নাম ইতিহাস মনে রাখবে অনির্বাণ।”
কিন্তু অনির্বাণ জানে, এই মুক্তাহার ফিরে এলেও, চুরির ছায়া থেকে ইতিহাস মুক্ত নয়। প্রতিটি জিনিসের পেছনে থাকে এক যুদ্ধ — সত্য আর লোভের, স্মৃতি আর বিস্মৃতির।
অনির্বাণ ফিরে আসে তার ডেস্কে। কাগজের পাতায় ছাপা হচ্ছে তার রিপোর্ট। বাইরে কুয়াশা। শহর আবার নিঃশব্দ, কিন্তু সে জানে, ইতিহাস নিঃশব্দ নয় — তার প্রতিধ্বনি থেকে যায় রাত্রির ছায়ায়।
Comments
Discussion
No commentsPlease sign in to join the discussion