সেই রাতের পর এসপ্ল্যানেডের ওই গলিটা পুলিশ সিল করে দিলো। পরদিন সকালে দমকল এসেছিলো। তারা বললো, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। গুদামের ভেতরের সব কিছু পুড়ে ছাই।
রাতুল বোস বেহালার সেই ফ্ল্যাট ছেড়ে দিলো। সে তার ক্যামেরা বা স্টুডিয়োর কিছুই সাথে নিলো না।
পরান ডোমকে সে জিজ্ঞেস করেছিল, "দাদু, অমিশার কী হলো?"
পরান হেসেছিল। "সে কবেই মুক্তি পেয়েছে। যেদিন তুমি প্রথম তার ছবি তুলেছিলে, সেদিনই। সে শুধু তোমাকে একটা পথ দেখাচ্ছিল। কালীপদকে শেষ করার পথ।"
রাতুল এখন আর কলকাতায় থাকে না। সে চলে গেছে অনেক দূরে, উত্তরবঙ্গের এক পাহাড়ি গ্রামে। সে এখন একটা ছোট স্কুলে ছবি আঁকা শেখায়।
তার কাছে এখন কোনো ক্যামেরা নেই। না ডিজিটাল, না অ্যানালগ।
মাঝে মাঝে সন্ধেবেলা, সে পাহাড়ের ঢালে বসে সূর্যাস্ত দেখে। সে দেখে, কীভাবে আলো অন্ধকারের সাথে মেশে, কীভাবে ছায়ারা লম্বা হয়।
সে এখন আর ছায়াকে ভয় পায় না। সে জানে, আলো থাকলেই ছায়া থাকবে। কিন্তু কোনো ছায়াই চিরস্থায়ী নয়। প্রত্যেক ছায়ার শেষে, একটা নতুন সকাল অপেক্ষা করে।
সে ক্যামেরা ছাড়াই সেই মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করে। তার মনের ক্যানভাসে।
Comments
Discussion
No commentsPlease sign in to join the discussion