যে মুহূর্তে সাদা কাগজগুলো রক্তের যন্ত্রটার ওপর পড়লো, একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো।
ঘরের সমস্ত অন্ধকার যেন শুষে নিলো ওই কাগজগুলো। কালীপদর সেই অতিকায় 'ছায়া-পুরুষ' একটা সরু ধোঁয়ার মতো পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে ওই কাগজগুলোর ভেতরে ঢুকে যেতে লাগলো।
"না!" কালীপদর কঙ্কালটা তার দিকে এগিয়ে এলো।
"জয় মা কালী!" পরান ডোম তার ঝোলা থেকে একটা মশাল বের করে তাতে আগুন ধরালো। "তোর খেলা শেষ, কালীপদ!"
পরান সেই মশালটা ছুঁড়ে দিলো ফটোগ্রাফিক পেপারগুলোর ওপর।
কাগজগুলো দাউদাউ করে জ্বলে উঠলো। আর তার ভেতর থেকে ভেসে এলো হাজার হাজার মানুষের মিলিত চিৎকার। শুধু অমিশার নয়, কালীপদ যাদের ছবি তুলেছিল, যাদের আত্মাকে সে বিরক্ত করেছিল, তাদের সবার।
আর সেই আগুনের শিখার মধ্যে, কালীপদর কঙ্কালটা ছটফট করতে করতে ছাই হয়ে গেলো।
আগুনটা এক মুহূর্তের জন্য দপ করে জ্বলে উঠেই নিভে গেলো।
সব শান্ত।
ডার্করুমে এখন কর্পূরের গন্ধ, পোড়া কাগজের গন্ধ। আর কোনো রাসায়নিকের গন্ধ নেই।
রাতুল হাঁপাচ্ছিল। পরান ডোম তাকে ধরে তুললো।
"সব শেষ, বাবু। তোমার ছায়া তোমার কাছেই আছে।"
রাতুল দেখলো, মেঝেতে পোড়া কাগজগুলোর মাঝখানে একটা জিনিস পড়ে আছে। কালীপদর সেই পুরনো ক্যামেরাটা, যেটা কঙ্কালটা ধরেছিল। সেটা এখন গলে যাওয়া লোহার একটা পিণ্ডে পরিণত হয়েছে।
Comments
Discussion
No commentsPlease sign in to join the discussion