এক মাস পর।
"কলকাতার আয়না"-এর অফিসটা আর জীর্ণ নেই। ধর্মতলার ওই ছোট ঘর থেকে তারা বালিগঞ্জে একটা নতুন, ঝকঝকে অফিসে চলে এসেছে। সুব্রত রায়ের পোর্টাল এখন রাজ্যের এক নম্বর নিউজ সোর্স।
মন্ত্রী আশীষ বর্মণ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। অখিলেশ ঝা, সান্যাল আর কালামের বিরুদ্ধে হিউম্যান ট্র্যাফিকিং, ব্ল্যাকমেলিং আর খুনের মামলা চলছে। সোনাগাছির ৮/বি বাড়িটা সিল করে দেওয়া হয়েছে।
রিয়া মিত্রর লেখা "দ্য রং নাম্বার ফাইলস" নামের ধারাবাহিক রিপোর্টগুলো সারা দেশে আলোড়ন ফেলেছে।
আর রাতুল সেনগুপ্ত?
সে তার বেহালার পুরোনো ফ্ল্যাটটা ছেড়ে দিয়েছে। সে এখন "কলকাতার আয়না"-এর ইনভেস্টিগেটিভ টিমের হেড। অ্যাকাউনটেন্সির হিসেব সে আর মেলায় না। সে এখন দুর্নীতির হিসেব মেলায়।
"রাতুলদা," একজন নতুন ট্রেনি রিপোর্টার তার কেবিনে উঁকি দিল। "সুব্রত স্যার ডাকছেন। একটা নতুন কেস এসেছে।"
রাতুল তার ল্যাপটপটা বন্ধ করল। তার ডেস্কের ওপর একটা ফ্রেমে বাঁধানো ছবি। অনন্যা সেনের সেই হাসিমুখটা।
সে ছবিটার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল, "আপনার ভরসা আমি রেখেছি, অনন্যা। আপনার নম্বরটা 'ভুল' ছিল না।"
রাতুল উঠে দাঁড়াল। কনফারেন্স রুমের দিকে এগোতে এগোতে সে তার নতুন স্মার্টফোনটা বের করল। একটা অচেনা নম্বর থেকে কল আসছিল।
সে আর এক মুহূর্তও দ্বিধা করল না। ফোনটা তুলে আত্মবিশ্বাসের সাথে বলল, "হ্যালো, রাতুল সেনগুপ্ত বলছি।"
সে জানত, কিছু কিছু ফোন কল এড়ানো যায় না। কিছু কিছু লড়াই লড়তেই হয়।
(সমাপ্ত)
Comments
Discussion
No commentsPlease sign in to join the discussion