Episode 51585 words0 views

ঘুমন্ত ড্রাগনের শেষ ডিম : পঞ্চম পর্ব

পুনর্জীবন ও উত্তরাধিকার আয়ান দ্রুত গুহা থেকে বেরিয়ে এল। বাইরে এসেই সে অবাক বিস্ময়ে দেখল, কালো মেঘে আকাশ ছেয়ে গেছে, যেন পুরো আকাশটাই এক বিশাল কালো চাদরে ঢেকে গেছে। বাতাসের সাথে ভেজা মাটির গন্ধ ভেসে আসছে, যা তার পরিচিত বহুদিনের ধুলোমাখা গন্ধের চেয়ে সহস্র গুণ বেশি মধুর, যেন জীবন ফিরে আসার ঘ্রাণ, প্রকৃতির নবজন্মের বার্তা। কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই প্রবল ধারায় বৃষ্টি নামতে শুরু করল। প্রথমে ছোট ছোট ফোঁটা, তারপর বিশাল ধারায়, যেন আকাশ তার সব দুঃখ ভুলে পৃথিবীর বুকে নেমে আসছে, তার চোখের জলে পৃথিবীকে স্নান করাচ্ছে। শুকনো মাটি আকণ্ঠ জল পান করতে লাগল, তার বুক ভরে উঠল, আর তৃষ্ণার্ত গাছগুলো যেন নতুন জীবন ফিরে পেল, তাদের পাতায় নতুন সবুজ দেখা দিল, তাদের ডালপালা যেন বৃষ্টির জলে নেচে উঠল। বৃষ্টির শব্দে চারদিকে এক নতুন প্রাণের স্পন্দন শুরু হলো, যা আশগ্রামের মানুষকে বহুদিন পর আশা জুগিয়েছিল। আয়ান ভিজে একাকার হয়ে গেল, তার চুল বেয়ে জল পড়ছিল, কিন্তু তার চোখে ছিল আনন্দের জল, এক বিশুদ্ধ সন্তুষ্টির ছাপ। সে দ্রুত গ্রামের দিকে ছুটে চলল, তার প্রতিটি পদক্ষেপে ছিল নতুন শক্তি, যেন সে পৃথিবীর বুকেই নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। তবে, এই ফিরে আসার পথটি অপ্রত্যাশিতভাবে কঠিন হয়ে উঠেছিল। যে শুকনো পথ ধরে সে এসেছিল, সেই পথ এখন বৃষ্টির জলে পিচ্ছিল হয়ে গেছে। পাথুরে ঢালগুলো থেকে জলধারা বয়ে যাচ্ছিল, যা ছোট ছোট ঝর্ণার রূপ নিয়েছিল, আর কিছু জায়গায় ছোট ছোট জলপ্রপাত তৈরি হয়েছিল। মাটি কাদায় পরিণত হওয়ায় তার পা বারবার পিছলে যাচ্ছিল, তাকে সাবধানে প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হচ্ছিল, কখনো কখনো তাকে হামাগুড়ি দিয়ে এগোতে হচ্ছিল। ‘কাঁটাযুক্ত পথ’ এখন আরও বিপদজনক মনে হচ্ছিল, কারণ ধারালো পাথরগুলো বৃষ্টির জলে আরও পিচ্ছিল হয়ে গেছে, এবং তাদের গা বেয়ে আসা বিষাক্ত রস বৃষ্টির জলে মিশে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছিল। আয়ানকে সাবধানে পথ এগোতে হচ্ছিল, তার পা বারবার কাদায় ডুবে যাচ্ছিল। ফিসফিসিয়ে ওঠার জঙ্গল এখন এক নতুন রূপে ধরা দিল। জলাভূমিগুলো বৃষ্টির জলে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল, তার পথ চেনা কঠিন হয়ে উঠছিল। বনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট ছোট নদীগুলো এখন ফুলে উঠেছে, সেগুলোকে অতিক্রম করা প্রায় অসম্ভব মনে হচ্ছিল। আয়ানকে গাছের ডাল ধরে, পাথরের উপর দিয়ে লাফিয়ে, এক নতুন পথে এগিয়ে যেতে হচ্ছিল, তার শরীর তখনো ক্লান্তিতে ভেঙে পড়ছিল। এক জায়গায় একটি গাছের শেকড় কেটে যাওয়ায় সে প্রায় একটি ছোট নদীর তীব্র স্রোতে ভেসে যাচ্ছিল, কোনোমতে একটি পাথরের উপর নিজেকে ধরে রেখে সে প্রাণে রক্ষা পেয়েছিল। তার পোশাক কাদা ও জলে ভিজে ভারী হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তার মন ছিল অনড়। সে রিয়ার মুখ দেখতে পাচ্ছিল, গ্রামের মানুষের হাসি শুনতে পাচ্ছিল, আর তার কানে নীলিমার সেই শেষ কথাগুলো বাজছিল: “আমাদের সবার জীবন তোমার হাতে,” যা তাকে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি দিচ্ছিল। তবে, বৃষ্টির মধ্যেও বনের গভীর থেকে অদ্ভুত গুঞ্জন আসছিল, যেন অদৃশ্য সত্তারা তাদের বিরক্তি প্রকাশ করছে, আয়ানের উপস্থিতি তাদের শান্তি ভঙ্গ করেছে। সে বারবার পেছনে ফিরে তাকাচ্ছিল, অনুভব করছিল যেন কেউ তাকে অনুসরণ করছে, তার পিছু ছাড়ছে না। এই অনুভূতি তাকে আরও দ্রুত হাঁটতে বাধ্য করছিল, যেন কোনো অদৃশ্য শক্তি তাকে তাড়া করছে। বনের গাছপালা যেন তার দিকে হাত বাড়িয়ে তাকে আটকাতে চাইছে, তাদের ডালগুলো বাতাসের সাথে এমনভাবে দুলছিল যেন তারা জীবন্ত। মনে হচ্ছিল, বনের প্রতিটি পাতা, প্রতিটি কাঁটা তার দিকেই তাকিয়ে আছে, যেন তারা তার বিচার করছে, সে কি এই উপহারের যোগ্য? অবশেষে, বহু কষ্টে, আয়ান গ্রামের সীমানায় পৌঁছাল। দূর থেকে সে দেখল, গ্রামের মানুষজন আনন্দে আত্মহারা। মানুষজন ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে, বৃষ্টির জলে ভিজে নাচছে, হাসছে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরছে, তাদের মুখে ছিল বহুদিনের হারিয়ে যাওয়া হাসি, তাদের চোখে ছিল এক নতুন দীপ্তি। বহুদিনের শুষ্কতা আর হতাশা যেন এক নিমেষে ধুয়ে মুছে গেল, তাদের মনে এক নতুন ভোরের আগমন হলো, এক নতুন জীবনের সূচনা হলো। শিশুরা বৃষ্টির জলে খেলা করছে, কাদা মেখে হাসছে, আর তাদের চোখে সেই পুরোনো হাসি ফিরে এসেছে, তাদের কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসছে আনন্দের কলরব। রিয়াও বৃষ্টির জলে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তার চোখে নতুন করে কৌতূহল জেগে উঠেছে, তার মুখে এক ঝলমলে হাসি ফুটে উঠেছে। আয়ানের আগমনের খবর পেয়ে নিলিমা ছুটে এল। তার চোখ দুটি জলে টইটম্বুর, বৃষ্টির জল আর আনন্দের অশ্রু একাকার হয়ে যাচ্ছিল। সে আয়ানকে জড়িয়ে ধরল, তার মুখে কোনো কথা ছিল না, শুধু কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা। তার হাতের শুকনো গোলাপের পাপড়িটি তখন আয়ানের ভেজা পকেটেই ছিল, পাপড়িটি তখন বৃষ্টির জলে ভিজে আরও তাজা মনে হচ্ছিল, যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আয়ান যখন দাদীমাকে সব কথা বলল, তখন দাদীমা তার মাথায় হাত রাখলেন। তার চোখে ছিল গর্ব আর ভালোবাসা, আর মুখে ছিল এক নির্মল হাসি। “আমি জানতাম তুমি পারবে, আয়ানের ছেলে,” তিনি হাসলেন। “তুমি ডিমের শক্তি চাওনি, চেয়েছিলে গ্রামের মুক্তি। ডিমের শক্তি হলো প্রকৃতির ভারসাম্য, আর তুমি তা সম্মান করেছো। তুমি প্রমাণ করেছো যে সত্যিকারের বীরত্ব বাহুবলে নয়, হৃদয়ের পবিত্রতায়, আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসায়।” আশগ্রাম আবার সবুজে ভরে উঠল। নদী আবার জলে টইটম্বুর হলো, মাছেরা আবার ফিরে এল। পাখিরা আবার গান গাইতে শুরু করল, তাদের সুরে নতুন আনন্দের ঝঙ্কার। আয়ান কোনো বীরত্বের মুকুট পরল না, কোনো সিংহাসনে বসল না, কিন্তু তার গ্রামের মানুষ তাকে হৃদয় দিয়ে সম্মান করত, তাদের কাছে সে ছিল এক নতুন আশার প্রতীক, এক পরিত্রাতা। শেষ ড্রাগন ডিমটি গুহাতেই রয়ে গেল, প্রকৃতির এক নীরব প্রহরী হয়ে, আর তার শক্তি আশগ্রামের সাথে মিশে গেল, যা তাদের নতুন করে জীবন দিল। আর আয়ান, সে আবার লাঙল হাতে নিল, কিন্তু তার চোখে ছিল এক গভীর শান্তি আর মনে ছিল ড্রাগনের নীরব আশীর্বাদ। সে জেনেছিল, সত্যিকারের শক্তি লোভের মধ্যে নয়, ত্যাগের মধ্যে। এই পৃথিবীতে কিছু জিনিস আছে যা কেবল বিশুদ্ধ আত্মাই অর্জন করতে পারে, আর আয়ান তার উজ্জ্বল প্রমাণ ছিল। তার গল্প আশগ্রামের কিংবদন্তি হয়ে রইল, যা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে শেখাবে নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মূল্য। অনেক বছর পেরিয়ে গেল। আশগ্রাম আবার তার পুরোনো গৌরব ফিরে পেল, বরং আরও সমৃদ্ধ হলো। সবুজ মাঠ ভরে উঠল ফসলে, ধানক্ষেতগুলো বাতাসে দুলত, যেন প্রকৃতির আশীর্বাদে ভরে উঠেছে। নদীগুলো বয়ে চলল কলকল শব্দে, তার তীরে জেলেরা মাছ ধরতে শুরু করল। পাখিরা আবার গান গাইতে শুরু করল, তাদের সুরে নতুন আনন্দের ঝঙ্কার। শিশুরা খেলা করে বেড়াতো সবুজ ঘাসে, তাদের হাসিতে ভরে থাকত গ্রাম, আর তাদের চোখগুলোতে ছিল উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। আয়ান একজন সম্মানিত কৃষক হিসেবে গ্রামে বসবাস করত। তার জ্ঞান আর অভিজ্ঞতাকে গ্রামের মানুষ সম্মান করত। রিয়া বড় হয়ে একজন বুদ্ধিমতী ও দয়ালু নারী হয়ে উঠেছিল, যে তার ভাইকে তার জীবনদাতা হিসেবে দেখত, আর সর্বদা তাকে শ্রদ্ধা করত। নিলিমা আশগ্রামের একজন সম্মানিত চিকিৎসক হয়ে উঠল, তার জ্ঞান আর দয়া দিয়ে সে গ্রামের মানুষের সেবা করত। গ্রামের প্রতিটি উৎসব-পার্বণে আয়ান ও নীলিমার গল্প বলা হতো, তাদের ঘিরে তৈরি হয়েছিল বহু লোককাহিনী, যা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করত। তবে, আয়ান নিজেকে বীর মনে করত না। সে জানত, তার কাজ ছিল কেবল তার হৃদয়কে অনুসরণ করা, তার অন্তর তাকে যে পথে চালিত করেছিল, সে সে পথেই হেঁটেছিল। সে জানত, প্রকৃতির ভারসাম্য কত মূল্যবান, এবং মানুষের লোভ কীভাবে সবকিছু ধ্বংস করতে পারে। সে প্রায়শই একা একা সেই ড্রাগনের পর্বতের দিকে তাকিয়ে থাকত, মনে মনে সেই বৃদ্ধ পথিক আর ঘুমন্ত ড্রাগনকে ধন্যবাদ জানাত। সে জানত, সেই ডিমটি এখনো সেখানে আছে, প্রকৃতির নীরব প্রহরী হয়ে, পৃথিবীর বুকে প্রাণের স্পন্দন জাগিয়ে রাখতে, এবং ভবিষ্যতেও পৃথিবীকে রক্ষা করতে। একবার, আশগ্রামের কাছাকাছি একটি ছোট গ্রামে একই রকম ভয়াবহ খরা দেখা দিল। সেখানকার মানুষজন হতাশ হয়ে পড়েছিল, তাদের চোখে ছিল মৃত্যুর ভয়। তারা আশগ্রামের উন্নতির কথা শুনে আয়ানের কাছে সাহায্য চাইতে এল, তাদের মনে ছিল এক শেষ আশা। আয়ান তাদের কথা শুনেছিল এবং তাদের সাথে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিল। সে তাদের লোভের পরিণতি সম্পর্কে বলেছিল এবং প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছিল। সে তাদের বলেছিল, বল বা ক্ষমতা দিয়ে নয়, বরং হৃদয় দিয়ে কিছু অর্জন করতে হয়। আয়ান তাদের পথ দেখিয়েছিল, কিন্তু তাদের নিজেদেরই পথ খুঁজে নিতে বলেছিল। সে তাদের শিখিয়েছিল, কীভাবে ছোট ছোট দয়া আর আত্মত্যাগ এক বিশাল পরিবর্তন আনতে পারে, যা তাদের নিজেদের জীবনেও এনেছিল। সেই গ্রামের এক তরুণ, যার নাম ছিল দীপ্র, আয়ানের গল্প শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছিল। সেও নিজের গ্রামের জন্য কিছু করতে চেয়েছিল। দীপ্র আয়ানের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা পেয়ে ড্রাগনের গুহার পথে যাত্রা শুরু করল। আয়ান তাকে কোনো অস্ত্র বা জাদুর জিনিস দিল না, কেবল তাকে একটি ছোট, পাথরের চাবুক উপহার দিল এবং বলল, “এটি তোমার সাহস ও সংকল্পের প্রতীক। মনে রেখো, যা তুমি খুঁজছো, তা তোমার বাইরে নেই, তা তোমার ভেতরেরই প্রতিচ্ছবি।” আয়ান তাকে শিখিয়েছিল কীভাবে বনের বিপদ থেকে বাঁচতে হয়, এবং কীভাবে মনের শক্তি দিয়ে বাধা অতিক্রম করতে হয়। দীপ্রর যাত্রা ছিল আয়ানের চেয়েও কঠিন। পথে সে দেখেছিল অনেক লোভী মানুষকে, যারা গুপ্তধনের সন্ধানে ড্রাগনের গুহায় যেতে চেয়েছিল। তারা দীপ্রকে তাদের সাথে যোগ দিতে প্রলুব্ধ করেছিল, কিন্তু দীপ্র তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল। দীপ্র তাদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায়নি, বরং নিজের পথ বেছে নিয়েছিল, তার মনে ছিল আয়ানের কথাগুলো। সে দেখেছিল একটি আহত হরিণকে, যা শিকারীদের জালে আটকা পড়েছিল। হরিণটি যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। দীপ্র তার নিজের জলের অংশ থেকে হরিণটিকে জল পান করিয়েছিল এবং তাকে মুক্ত করেছিল, তার হাতেও লেগেছিল আঘাত। এই ঘটনাটি আয়ানের গোলাপের চারাকে জল দেওয়ার ঘটনার মতোই ছিল, যা দীপ্রর হৃদয়কে বিশুদ্ধ করে তুলেছিল, এবং তার মনে এক নতুন শান্তি এনেছিল। অবশেষে দীপ্র ড্রাগনের গুহায় পৌঁছাল। সেখানে সেও ডিমের চারপাশে অদৃশ্য প্রাচীর দেখতে পেল। প্রাচীরটি ছিল এতটাই শক্ত যে তা ভেদ করা অসম্ভব মনে হচ্ছিল। সে ডিমের দিকে তার পাথরের চাবুক বাড়িয়ে দিল, তার মনে ছিল শুধুই গ্রামের প্রতি ভালোবাসা আর প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা। আয়ানের মতো, সেও ডিমটিকে স্পর্শ করার লোভ ত্যাগ করল। সে কেবল প্রার্থনা করল, আর তার প্রার্থনা ছিল বিশুদ্ধ, তাতে কোনো স্বার্থ ছিল না। ফলস্বরূপ, ড্রাগন তার শক্তি প্রদর্শন করল এবং সেই গ্রামেও বৃষ্টি নামল, আর দীপ্র তার গ্রামের মানুষের কাছে এক নতুন আশার প্রতীক হয়ে উঠল। এইভাবে, ড্রাগনের শেষ ডিমের কিংবদন্তি আশগ্রাম এবং তার আশপাশের গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে পড়ল। মানুষ বুঝতে পারল যে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে নয়, বরং প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে কাজ করলেই শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। আয়ান এবং দীপ্রর মতো সাধারণ মানুষরা প্রমাণ করেছিল যে প্রকৃত শক্তি অস্ত্রের বা লোভের মধ্যে নেই, তা আছে নিঃস্বার্থ ভালোবাসায়, আত্মত্যাগে এবং বিশুদ্ধ হৃদয়ে। ড্রাগন ডিমটি চিরকাল ঘুমন্ত ড্রাগনের কাছেই রয়ে গেল, এক নীরব কিংবদন্তি হয়ে, পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করে। আর আয়ান, সে তার জীবন শান্তিতে কাটিয়েছিল, তার ছোট্ট গ্রাম আশগ্রামের গর্বিত সন্তান হয়ে। তার গল্প অমর হয়ে রইল, এক জীবন্ত কিংবদন্তি হয়ে, যা ভবিষ্যতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। ~সমাপ্ত~

Share this story

Comments

Discussion

No comments

Please sign in to join the discussion