Episode 111442 words0 views

একাদশ অধ্যায়: সূর্যের অস্ত

মধ্যরাতের কলকাতা ছিল এক ঘুমন্ত দৈত্য। কিন্তু সেই দৈত্যের শিরার মধ্যে, আর্মেনিয়ান ঘাটের কাছে, নিঃশব্দে চলছিল একদল শিকারির পদসঞ্চালন। গঙ্গার কালো জলের ওপর দিয়ে ভেসে আসা ঠান্ডা, স্যাঁতসেঁতে হাওয়া পরিত্যক্ত পাটকলের ভাঙা জানালার শার্সিতে লেগে একটা ভৌতিক কান্নার মতো শব্দ তৈরি করছিল। অনির্বাণের নেতৃত্বে থাকা কম্যান্ডোদের দলটি সেই শব্দের মতোই নিঃশব্দে এগিয়ে যাচ্ছিল তাদের লক্ষ্যের দিকে—‘এআরসি হেরিটেজ ফাউন্ডেশন’-এর সেই সুরক্ষিত গুদাম, যা এখন এক ভয়ঙ্কর সংগঠনের দুর্গে পরিণত হয়েছে। অনির্বাণ একটা ভ্রাম্যমাণ কমান্ড পোস্টে বসেছিল, যা গুদাম থেকে প্রায় দুশো মিটার দূরে একটা অন্ধকার গলিতে রাখা হয়েছিল। তার সামনে ছিল একাধিক মনিটর, যেখানে তার দলের সদস্যদের হেলমেট ক্যামেরার লাইভ ফিড আসছিল। তার কানে লাগানো হেডসেটে শোনা যাচ্ছিল শুধু তাদের নিয়ন্ত্রিত নিঃশ্বাসের শব্দ আর হার্টবিটের চাপা প্রতিধ্বনি। “আলফা টিম, পেরিমিটার সুরক্ষিত?” অনির্বাণের কণ্ঠস্বর ছিল বরফশীতল। “সুরক্ষিত, স্যার। ভেতরে ঢোকার জন্য প্রস্তুত,” টিমের লিডারের চাপা স্বর ভেসে এল। গুদামটা ছিল একটা বিশাল, কঙ্কালসার স্থাপত্য। তার দেওয়ালের প্রতিটা ইঁটে ছিল শোষণ, শ্রম আর বিস্মৃত সময়ের ইতিহাস। কম্যান্ডোরা নিঃশব্দে দেওয়াল বেয়ে উঠে বিভিন্ন প্রবেশপথ দিয়ে ভেতরে ঢোকার জন্য প্রস্তুত হলো। “Enter on my command. Three… two… one… Go!” দরজা এবং জানালা দিয়ে মাকড়সার মতো ভেতরে প্রবেশ করল ব্ল্যাক ক্যাট কম্যান্ডোরা। ভেতরের দৃশ্যটা ছিল প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। গুদামের বিশাল হলঘরের মাঝখানে, মেঝেতে আঁকা ছিল ‘নবজাগরণ সমিতি’র সেই বিশাল উদীয়মান সূর্যের প্রতীক। আর সেই প্রতীকের ঠিক কেন্দ্রে একটা চেয়ারে বেঁধে রাখা হয়েছিল রিয়া চৌধুরীকে। তার চারপাশে মশাল হাতে দাঁড়িয়ে ছিল সমিতির দশ-বারোজন সদস্য, তাদের পরনে ছিল খাকি রঙের ইউনিফর্ম। আর তাদের সামনে, একটা উঁচু বেদীর ওপর দাঁড়িয়ে ছিল শ্রীকান্ত রায়চৌধুরী। তার মুখে ছিল এক শান্ত, সৌম্য হাসি, যেন সে কোনো ঐতিহাসিক যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত। কিন্তু অনির্বাণের চোখ আটকে গেল অন্য একটা জিনিসে। রিয়ার চেয়ারের সাথে এবং গুদামের বিভিন্ন পিলার ও সাপোর্টিং বিমের সাথে জড়ানো ছিল বিস্ফোরকের তার। আর সেই সব তারের সংযোগ ছিল একটাই ডিভাইসের সাথে—যেটা শ্রীকান্ত রায়চৌধুরীর হাতে ধরা ছিল। একটা ডেড ম্যান’স সুইচ। যদি তার হাত থেকে সুইচটা পড়ে যায়, বা সে নিজে সুইচটা ছাড়ে, তাহলে পুরো গুদামটা একটা আগুনের গোলায় পরিণত হবে। শ্রীকান্ত যেন তাদের উপস্থিতিটা আগে থেকেই টের পেয়েছিল। সে গুদামের পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে লাগানো একটা মাইক্রোফোনের দিকে এগিয়ে গেল। তার শান্ত, কর্তৃত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর গুদামের বিশাল হল জুড়ে প্রতিধ্বনিত হতে লাগল। “স্বাগত, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বক্সী। আমি জানতাম আপনি আসবেন। আইন সবসময় ইতিহাসের পিছু নিতেই ভালোবাসে।” অনির্বাণ বুঝতে পারল, এটা একটা ফাঁদ। সরাসরি আক্রমণ করা অসম্ভব। “রায়চৌধুরী, আপনার খেলা শেষ। আপনার চারপাশটা আমাদের লোকেরা ঘিরে ফেলেছে। রিয়াকে ছেড়ে দিন,” অনির্বাণ তার কমিউনিকেটরের মাধ্যমে বলল, সেই আওয়াজ গুদামের ভেতরেও পৌঁছে গেল। শ্রীকান্ত হাসল। “খেলা তো সবে শুরু হলো, মিস্টার বক্সী। আপনি কি ভেবেছেন আমি এত সহজে ধরা দেব? এই গুদামটা শুধু আমার আস্তানা নয়, এটা আমার মন্দির। আর আমরা সবাই একসাথে এই মন্দিরেই আত্মাহুতি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।” সে ডেড ম্যান’স সুইচটা আলতো করে নাড়াল। “একটা ভুল পদক্ষেপ, আর আমরা সবাই ইতিহাসের অংশ হয়ে যাব।” হঠাৎই, গুদামের বিভিন্ন কোণায় লাগানো স্পিকার থেকে শ্রীকান্তের রেকর্ড করা কণ্ঠস্বর বাজতে শুরু করল। সে তার সমিতির আদর্শ, তার কাজের ন্যায্যতা ব্যাখ্যা করতে লাগল। একই সাথে সে অনির্বাণকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতে শুরু করল। “আপনি আইন রক্ষা করছেন, মিস্টার বক্সী? যে আইন তেতাল্লিশের মন্বন্তরের মজুতদারদের রক্ষা করেছিল? যে আইন নীলকর সাহেবদের নিরাপত্তা দিয়েছিল? আপনি সেই পচে যাওয়া সিস্টেমের একজন প্রহরী মাত্র।” এই মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টির সুযোগে শ্রীকান্ত একটা অবিশ্বাস্য কাজ করল। সে রিয়ার চেয়ারের বাঁধন খুলে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে গুদামের পেছনের দিকে, যেখানে পুরনো, মরচে ধরা যন্ত্রপাতির এক গোলকধাঁধা, সেদিকে পিছিয়ে যেতে লাগল। “Find us if you can!” তার হাসিটা অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। অনির্বাণ আর বসে থাকতে পারল না। “টিম বি, ওকে ফলো করো। স্নাইপার, পজিশন নাও। আমি নিজে যাচ্ছি।” সে তার রিভলভার হাতে নিয়ে গুদামের ভেতরে প্রবেশ করল। চারদিকে ছিল বিশাল বিশাল মেশিন, উঁচু লোহার সিঁড়ি আর অন্ধকার কোণ। শ্রীকান্তের কণ্ঠস্বর তখনও স্পিকারে বাজছিল, যা এই গোলকধাঁধাকে আরও ভৌতিক করে তুলেছিল। শুরু হলো এক ভয়ঙ্কর বিড়াল-ইঁদুরের খেলা। অনির্বাণ তার টিমের সাথে নিঃশব্দে এগোচ্ছিল। ওপরে, ক্যাঁচ্ ক্যাঁচ্ শব্দ করা এক নড়বড়ে ক্যাটওয়াক ধরে শ্রীকান্ত রিয়াকে নিয়ে যাচ্ছিল। “আপনি কি জানেন, মিস্টার বক্সী,” স্পিকারে শ্রীকান্তর গলা ভেসে এল, “আপনার পূর্বপুরুষও ব্রিটিশদের অধীনে কাজ করত? ইতিহাসের দিক থেকে দেখলে, আপনি আর আমি একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।” অনির্বাণ তার কথায় কান না দিয়ে একটা উঁচু জায়গায় পজিশন নিল। সে দেখতে পেল, শ্রীকান্ত রিয়াকে নিয়ে গুদামের সবচেয়ে উঁচু এবং সবচেয়ে পুরনো একটা প্ল্যাটফর্মের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে। নিচে প্রায় পঞ্চাশ ফুট গভীর অন্ধকার। “শেষ সুযোগ, রায়চৌধুরী। আত্মসমর্পণ করুন,” অনির্বাণ চিৎকার করে বলল। “কখনোই না!” শ্রীকান্ত হাসল। “আমার পূর্বপুরুষ, আশুতোষ রায়চৌধুরী, একটা বিশুদ্ধ আদর্শ নিয়ে এই সমিতি শুরু করেছিলেন। আমি তার সেই বিশুদ্ধতাকে ফিরিয়ে আনব।” ঠিক সেই মুহূর্তে, অনির্বাণের কানে লাগানো হেডসেটে শমিতা সেনের গলা ভেসে এল। তিনি সারারাত ধরে আর্কাইভ ঘেঁটে চলেছিলেন। “অনির্বাণ, আমি একটা ভয়ঙ্কর জিনিস খুঁজে পেয়েছি,” তার গলা কাঁপছিল। “আশুতোষ রায়চৌধুরী বিশুদ্ধ ছিলেন না। তিনি সমিতির তহবিল থেকে প্রচুর টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন এবং তার সবচেয়ে কাছের বন্ধুকে বিশ্বাসঘাতকতা করে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, শুধুমাত্র একটা জমিদারির লোভে। শ্রীকান্ত যা করছে, তা একটা মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে!” এই তথ্যটা ছিল একটা পারমাণবিক বোমার মতো। অনির্বাণ এক মুহূর্তও দেরি করল না। “একটা মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে, রায়চৌধুরী?” অনির্বাণ তার সমস্ত শক্তি দিয়ে চিৎকার করে বলল। “আপনার মহান পূর্বপুরুষ আশুতোষ রায়চৌধুরী নিজেই তো একজন বিশ্বাসঘাতক আর চোর ছিলেন! তিনি তার নিজের বন্ধুকে টাকার লোভে বিক্রি করে দিয়েছিলেন! আপনার সমিতির ভিতটাই তো মিথ্যার ওপর তৈরি!” শ্রীকান্ত যেন বিদ্যুতের শক খেল। “মিথ্যা কথা! এটা হতেই পারে না!” “রেকর্ডস কখনো মিথ্যা বলে না,” অনির্বাণ বলল। “আপনি যে শুদ্ধি যজ্ঞের কথা বলছেন, তার শুরুটাই তো হয়েছিল এক বিশ্বাসঘাতকতা দিয়ে। আপনি কোনো আদর্শকে রক্ষা করছেন না, আপনি শুধু একটা পারিবারিক লজ্জা ঢাকার চেষ্টা করছেন।” এই কথাটা শ্রীকান্তর বিশ্বাসের দুর্গে আঘাত হানল। তার এতদিনের আদর্শ, তার আত্মবিশ্বাস—সবকিছু যেন এক মুহূর্তে ভেঙে পড়তে শুরু করল। তার চোখ দুটো বিস্ফারিত, তার হাতটা সামান্য কেঁপে উঠল। আর সেই এক মুহূর্তের দ্বিধাই ছিল রিয়ার জন্য যথেষ্ট। সে একজন সাংবাদিক, তার পর্যবেক্ষণ শক্তি তীব্র। সে শ্রীকান্তর মানসিক বিচ্যুতিটা লক্ষ্য করেছিল। সে তার পায়ের হাই-হিল জুতোটা দিয়ে শ্রীকান্তর পায়ের পাতায় পুরো শক্তি দিয়ে আঘাত করল। শ্রীকান্ত যন্ত্রণায় এবং বিস্ময়ে চিৎকার করে উঠল। তার হাত থেকে ডেড ম্যান’স সুইচটা ফসকে যাওয়ার উপক্রম হলো। “Now!” অনির্বাণ চিৎকার করল। দুটো ঘটনা একসাথে ঘটল। গুদামের ছাদের একটা ভাঙা কাঁচের জানালা দিয়ে স্নাইপারের বুলেট এসে শ্রীকান্তর হাতের ডেড ম্যান’স সুইচটাকে উড়িয়ে দিল, সেটাকে টুকরো টুকরো করে দিয়ে। আর অনির্বাণ বাঘের মতো লাফিয়ে পড়ে শ্রীকান্তকে সজোরে ধাক্কা মারল। দুজনেই প্ল্যাটফর্মের ওপর থেকে নিচে, অপেক্ষাকৃত নিচু একটা যন্ত্রপাতির স্তূপের ওপর গড়িয়ে পড়ল। সবকিছু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শেষ হয়ে গেল। শ্রীকান্ত রায়চৌধুরী আহত, পরাজিত এবং মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। তার চোখে আর সেই আদর্শের আগুন ছিল না, ছিল শুধু শূন্যতা। তার বানানো মিথ্যার জগৎটা চুরমার হয়ে গিয়েছিল। রিয়াকে নিরাপদে নিচে নামিয়ে আনা হলো। সে কাঁপছিল, কিন্তু তার চোখে ছিল জয়ের ছাপ। গুদামের বাইরে তখন ভোরের আলো ফুটছে। গঙ্গার জল সেই আলোয় রুপোলি দেখাচ্ছে। একটা দীর্ঘ, অন্ধকার রাতের অবসান হলো। ‘নবজাগরণ সমিতি’র সূর্যের অস্ত হলো, নতুন ভোরের আলো ফোটার আগেই। এক মাস পর। কলকাতা শহর আবার তার পুরনো ছন্দে ফিরে এসেছে। কিন্তু শহরের মনের গভীরে একটা ক্ষত রয়ে গেছে। শ্রীকান্ত রায়চৌধুরী এবং তার "নবজাগরণ সমিতি"র বিচার চলছিল। তাদের কুকীর্তির একের পর এক কাহিনী বেরিয়ে আসছিল, যা খবরের কাগজের প্রথম পাতা দখল করে রেখেছিল। শহরের ড্রইং রুমে, চায়ের দোকানে একটাই আলোচনা—শ্রীকান্ত কি ঠিক ছিল? তার পদ্ধতি ভুল হতে পারে, কিন্তু তার উদ্দেশ্য কি মহৎ ছিল? ‘ঐতিহাসিক’-এর তৈরি করা বিতর্কটা তার অনুপস্থিতিতেও জীবন্ত ছিল। রিয়া চৌধুরী তার জীবনের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্টোরিটা লিখেছিল। সেটা কোনো চাঞ্চল্যকর বর্ণনা ছিল না, ছিল এক গভীর বিশ্লেষণ—কীভাবে অতীতের পাপ বর্তমানকে তাড়া করে ফেরে, কীভাবে আদর্শ এবং সন্ত্রাসের মধ্যেকার সূক্ষ্ম রেখাটা মুছে যায়। তার লেখাটা তাকে আন্তর্জাতিক সম্মান এনে দিয়েছিল। একদিন বিকেলে সে অনির্বাণের সাথে দেখা করতে এল, লালবাজারের উল্টোদিকের একটা ছোট ক্যাফেতে। “Thanks to you, I am alive,” রিয়া বলল। “Thanks to you, we found him,” অনির্বাণ মৃদু হেসে উত্তর দিল। তাদের মধ্যে পেশাগত সম্পর্কের বাইরে একটা বন্ধুত্বের এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার জন্ম হয়েছিল। অনির্বাণ বক্সীও আর আগের মতো ছিল না। সে এখনও প্রযুক্তি এবং ডেটায় বিশ্বাস করত, কিন্তু সে এখন জানত যে প্রতিটি ডেটা পয়েন্টের পেছনে একটা গল্প থাকে, একটা ইতিহাস থাকে। সেদিন সন্ধ্যায় সে গিয়েছিল অধ্যাপিকা শমিতা সেনের বাড়ি। অধ্যাপিকা তাকে তার প্রিয় এলাচ দেওয়া চা বানিয়ে দিলেন। “তাহলে অবশেষে সব শেষ হলো,” শমিতা সেন বললেন। “হ্যাঁ, ম্যাডাম। কেসটা বন্ধ,” অনির্বাণ বলল। “কিন্তু আমার মনে হয়, আসল লড়াইটা সবে শুরু হলো। এই যে ইতিহাসের বোঝা, এটা থেকে আমাদের মুক্তি কীভাবে?” শমিতা সেন জানালার বাইরে তাকিয়ে ছিলেন। অস্তগামী সূর্যের আলোয় আকাশটা ছিল আবিরের মতো লাল। তিনি শান্তভাবে বললেন, “ইতিহাসের দেনা রক্ত দিয়ে শোধ করা যায় না, অনির্বাণ। শুধু শিক্ষা দিয়েই করা যায়।” অনির্বাণ তার চায়ের কাপে চুমুক দিল। অধ্যাপিকার শেষ কথাটা তার মনে গেঁথে গেল। সে বুঝতে পারল, তার কাজ শুধু অপরাধীকে ধরা নয়। তার কাজ হলো, বর্তমানকে রক্ষা করা, যাতে ভবিষ্যত প্রজন্মকে অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি করতে না হয়। কলকাতা শহরটা বেঁচে থাকবে, তার সমস্ত সৌন্দর্য আর কদর্যতা নিয়ে। কারণ এই শহরের প্রতিটা ইঁটের নিচে যেমন বিশ্বাসঘাতকতা আর রক্তের দাগ লেগে আছে, তেমনই লেগে আছে সংগ্রাম, ভালোবাসা আর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। বিচার শেষ হয়, কিন্তু ইতিহাস চলতেই থাকে। (সমাপ্ত)

Share this story

Comments

Discussion

No comments

Please sign in to join the discussion