সিন্ডিকেটের সমস্ত তথ্য প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক দুনিয়ায় চরম অস্থিরতা সৃষ্টি হলো। লর্ড আর্থার ক্রসিংটন-এর মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও আন্তর্জাতিক মামলা শুরু হলো। মীর কাসিমের 'রৌপ্য-ভিত্তিক স্থিতিশীলতা' ফর্মুলাটি এখন আর কেবল একটি ঐতিহাসিক গবেষণাপত্র নয়, বরং বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি নতুন দিকনির্দেশক।
অনির্বাণ এবং ইরা মিলে ঐতিহাসিক অর্থনীতি ইনস্টিটিউট-কে এক বৈশ্বিক সংস্থায় পরিণত করলেন। জামাইল, সুস্থ হয়ে সামরিক জীবন ছেড়ে দিয়ে ইনস্টিটিউটের প্রধান নিরাপত্তা কৌশলবিদ হিসেবে যোগ দিলেন। তিনি নবাবের প্রাচীন জ্ঞান ও আধুনিক সামরিক কৌশলকে একীভূত করে সিন্ডিকেট বা অনুরূপ কোনো সংস্থার ভবিষ্যতে আক্রমণ ঠেকানোর জন্য একটি নতুন 'হাইব্রিড ডিফেন্স প্রোটোকল' তৈরি করলেন। জামাইলের আত্মত্যাগ অনির্বাণকে শিখিয়েছিল, মানুষের চরিত্র তার রক্ত নয়, তার ইচ্ছাশক্তি দ্বারা নির্ধারিত হয়।
ড. অনির্বাণ রায় তার লেখা বইটির নাম পরিবর্তন করলেন: 'নবাবের শেষ চিঠি: সোনালী গ্রামের বিচার ও মুক্তি'।
নবাব মীর কাসিম জানতেন, তরবারি নয়, কলমই হলো আসল শক্তি। আড়াইশো বছর পর, সেই কলমই চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকদের পরাজিত করল এবং ইতিহাসের পাতায় এক নতুন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করল। অনির্বাণ, ইরা এবং জামাইল—এই ত্রয়ীর যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলার সেই পুরোনো আমানত বিশ্বব্যাপী সত্যের এক বিজয়গাথা হয়ে উঠল।
শেষ
Comments
Discussion
No commentsPlease sign in to join the discussion