Episode 71373 words0 views

পর্ব ৬: ঢাকা অভিযান

ঢাকা পৌঁছানো এবং গোপন বন্ধুর আবির্ভাব: ফারুকের রহস্যময় অতীত অনির্বাণ প্রায় তিন দিন ধরে কখনো নৌকায়, কখনো লুকিয়ে, বহু কষ্টে নদীপথ পাড়ি দিয়ে ঢাকাতে পৌঁছালেন। তার শরীর ক্লান্ত, কিন্তু মন ছিল দৃঢ়। ঢাকাতে তিনি সরাসরি তার পুরোনো বন্ধু ফারুক আহমেদ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। ফারুক ছিলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রত্নতত্ত্ববিদ, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের অধ্যাপক ছিলেন। ফারুকের সঙ্গে অনির্বাণের বন্ধুত্ব ছিল বহু পুরোনো, কিন্তু তার বর্তমান শীতল আচরণ অনির্বাণের মনকে সন্দেহপ্রবণ করে তুলল। অনির্বাণ লক্ষ্য করলেন, ফারুকের হাতে একটি পুরোনো আংটি ছিল, যাতে একটি নির্দিষ্ট নকশা খোদাই করা—যেটি অন্য দুই বিশ্বাসঘাতক জমিদারের পারিবারিক চিহ্নের সঙ্গে সামান্য সাদৃশ্যপূর্ণ। ফারুক অনির্বাণকে একটি পুরোনো, কিন্তু সুরক্ষিত বাড়িতে আশ্রয় দিলেন। অনির্বাণ তাকে নবাবের চিঠি, সঙ্কেত এবং রণজিৎ চৌধুরীর চক্রের কথা বললেন। তিনি কৌশলে ফারুককে আল-কুতুবের কৌটার ভেতরের 'বিশ্বাসঘাতকতার রক্ত' সঙ্কেতটির কথা চেপে গেলেন। "সাত গম্বুজ মসজিদ," ফারুক ফিসফিস করে বললেন। "জাহাঙ্গীরনগরের শেষ সঙ্কেত। মীর কাসিমের একটি বিশেষ কৌশল ছিল—তিনি যখনই কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতেন, তখন তিনি স্থানীয় স্থাপত্যে এমন একটি চিহ্ন ব্যবহার করতেন, যা কেবল তাঁর অনুগতরাই বুঝতে পারত।" অনির্বাণ দেখলেন, তার হাতে থাকা আল-কুতুবের কৌটাটি আসলে একটি বিশেষ ডিভাইস। এটি কেবলমাত্র একটি নকশা নয়, এটি একটি টেম্পারেচার সেন্সর ও ক্যালিগ্রাফিক এনকোডার। তারা দু'জন গভীর রাতে সাত গম্বুজ মসজিদের দিকে যাত্রা করলেন। মসজিদটি ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত, কিন্তু তার সাতটি গম্বুজ যেন রহস্যের হাসি হাসছিল। অনির্বাণ মসজিদটি ঘুরে দেখলেন। নবাবের শেষ সঙ্কেত—"সাত গম্বুজের হাসি"। তিনি দেখলেন, মসজিদটি মোট সাতটি গম্বুজ নিয়ে গঠিত। চারটি মূল কাঠামোর উপর এবং তিনটি সামনের বারান্দার উপর। এই সাতটি গম্বুজের মধ্যে তিনটি গম্বুজে চাঁদ ও তারার নকশা ছিল। অনির্বাণ মনোযোগ দিয়ে গম্বুজগুলো দেখতে লাগলেন। 'হাসি' বলতে কী বোঝাতে পারে? আলোর প্রতিফলন? না। 'হাসি' বলতে গম্বুজের ওপরের ছোট চূড়াগুলো, যা চাঁদ ও তারার নকশার সঙ্গে মিলে অর্ধচন্দ্রাকৃতির মতো দেখতে। তিনি দেখলেন, গম্বুজের নিচের সাতটি থামের মধ্যে একটি ছিল অন্যগুলোর চেয়ে সামান্য ভিন্ন। সেটির গায়ে একটি নকশা ছিল, যা দেখতে অনেকটা চোখের মতো—আর তার উপরে অর্ধচন্দ্রাকৃতির ফাটল। তিনি সেই থামের কাছে গেলেন। থামের গায়ে কান পাততেই একটি ফাঁপা শব্দ শুনলেন। ঠিক যেন ভেতরে কোনো গুপ্ত প্রকোষ্ঠ আছে। তিনি আল-কুতুবের কৌটা বের করলেন। কৌটার ক্যালিগ্রাফিটি সেই চোখের নকশার সঙ্গে মিলে গেল। ফারুকের চূড়ান্ত বিশ্বাসঘাতকতা: তৃতীয় বিশ্বাসঘাতক যখন অনির্বাণ কৌটাটিকে থামের ফাটলের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ফারুকের মুখোশ খসে পড়ল। "অপেক্ষা করো, অনির্বাণ!" ফারুকের কণ্ঠস্বর এখন তীক্ষ্ণ এবং শীতল। তার চোখে লোভের আগুন। "এতদিন আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তুমি শুধু ইতিহাসের আবর্জনা ঘাঁটো, অনির্বাণ। আমি সেই রক্ত, যা শাসন করতে শিখেছে। নবাবের ফর্মুলা আমার হাতেই আসা উচিত।" অনির্বাণ স্তম্ভিত। "ফারুক! তুমি?" "হ্যাঁ! আমার পূর্বপুরুষ ছিল সেই তিন বিশ্বাসঘাতক জমিদারের একজন—মালিকপুর খান। রণজিৎ কেবল একটি অংশ। আমি আরেক অংশ। আমি জানতাম, রণজিৎ তোমাকে খুঁজছে। তাই আমি তোমাকে সাহায্য করার ভান করি, যাতে তুমি আমার হাতে চূড়ান্ত আমানত তুলে দাও।" ফারুক দ্রুত তার হাত থেকে সেই আংটিটি খুললেন এবং তা কৌটার দিকে এগিয়ে দিলেন। "এই আংটির ধাতু নবাবের নকশার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করবে। আমি রণজিতের মতো ধ্বংসকারী নই, অনির্বাণ। আমি এই ফর্মুলা ব্যবহার করে নতুন এক 'প্রাচ্য অর্থনৈতিক জোট' তৈরি করব, যেখানে আমার বংশ হবে চালক শক্তি।" ফারুক দ্রুত অনির্বাণের হাত থেকে কৌটাটি ছিনিয়ে নিতে চাইলেন। তাদের মধ্যে এক তীব্র নীরব ধস্তাধস্তি শুরু হলো। অনির্বাণ তার বন্ধুকে বিশ্বাস করার চরম মূল্য দিতে যাচ্ছিলেন। ইরার চূড়ান্ত দ্বিধা এবং গুপ্ত কক্ষের উন্মোচন ঠিক তখনই মসজিদের বাইরে কালো গাড়ির গর্জন শোনা গেল। রণজিৎ চৌধুরী এসে গেছেন। অনির্বাণ বুঝতে পারলেন, এখন ফারুক ও রণজিৎ, দুই বিশ্বাসঘাতকের মাঝখানে তিনি অসহায়। এই চরম মুহূর্তে, ইরা এবং জামাইল মসজিদে প্রবেশ করল। "ওখানে কী হচ্ছে?" রণজিৎ আদেশ দিলেন। ফারাইল যখন অনির্বাণের ওপর ঝাঁপ দিতে যাচ্ছিল, তখন ইরা এক মুহূর্তের জন্য দ্বিধা করল না। সে তার পকেট থেকে একটি বিশেষ ফ্রিকোয়েন্সির জামার (Jammer) ডিভাইস বের করে জামাইলের কোমরে দ্রুত চাপ দিল। মুহূর্তের মধ্যে জামাইলের সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা অকেজো হয়ে গেল। জামাইল ইরার দিকে অবিশ্বাস নিয়ে তাকাল। ইরা দ্রুত অনির্বাণকে ধাক্কা দিয়ে থামের ফাটলের দিকে ঠেলে দিল। "কৌটা ভেতরে ঢোকাও! দ্রুত!" অনির্বাণ সেই সুযোগে কৌটাটি থামের ফাটলের ভেতরে ঢুকিয়ে দিলেন। ভেতরে কিছু একটা চলল, সম্ভবত স্প্রিং। জামাইল ধাক্কা দিয়ে অনির্বাণকে মাটিতে ফেলে দিতেই থামের একটি অংশ সশব্দে সরে গেল। ভেতরে দেখা গেল একটি ছোট সিঁড়ি। "পেয়ে গেছি!" রণজিৎ বিজয়ের হাসি হাসলেন। তিনি ফারুককে দূরে সরিয়ে দিয়ে দ্রুত সিঁড়ির দিকে পা বাড়ালেন। অনির্বাণ এবং ইরা নিচে নামলেন। গুপ্ত প্রকোষ্ঠটি ছিল স্যাঁতস্যাঁতে এবং পুরোনো। সেখানে কোনো সোনা বা রত্নরাশি ছিল না। ছিল কেবল একটি শ্বেতপাথরের টেবিল, তার ওপর রাখা একটি তাম্রপাত্র এবং তাতে একটি চামড়ার ফাইল। রণজিৎ চৌধুরী ফাইলটি টেনে নিলেন। তার চোখ লোভে চকচক করে উঠল। "দীর্ঘ আড়াইশো বছর ধরে... আমার বংশের অভিশাপ এবার শেষ হবে।" অনির্বাণ হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন, "নবাব মীর কাসিম যা বলেছিলেন, সেটাই সত্য। এটা সোনা নয়, বস। এ হলো প্রমাণ।" রণজিৎ ফাইলটি খুললেন। ভেতরের দলিলগুলো ছিল ফার্সি এবং ইংরেজিতে লেখা। ১. বিশ্বাসঘাতকতার দলিল: ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে বাংলা এবং বিহারের তিন প্রভাবশালী দেশীয় জমিদারের—যারা আজকের আধুনিক ধনী ব্যবসায়িক পরিবারের পূর্বপুরুষ—গোপন চুক্তির দলিল। এই দলিল প্রমাণ করে, পলাশী বা বক্সার নয়, মীর কাসিমের পতন হয়েছিল অভ্যন্তরীণ বিশ্বাসঘাতকতার কারণে। ২. আর্থিক ফর্মুলা (The Financial Formula): এটি ছিল নবাবের নিজস্ব অর্থনৈতিক পরিকল্পনার হাতে লেখা বিবরণ। এর মূল বিষয় ছিল 'রৌপ্য-ভিত্তিক স্থিতিশীলতা' (Silver-Backed Stability)। এই নথিতেই লুকানো ছিল বিশ্ব অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দেওয়ার মতো সেই গোপন আর্থিক সঙ্কেত—একটি জটিল এনক্রিপ্টেড চার্ট। রণজিৎ হাসলেন, এবার সেই হাসি ভয়ংকর। "আমার বংশধররা ছিল সেই তিন বিশ্বাসঘাতক জমিদারের অন্যতম। এই দলিল আমার পরিচয় আর ক্ষমতার ভিত্তি। আর এই আর্থিক ফর্মুলা... এর মাধ্যমে আমি বিশ্ববাজারের নিয়ন্ত্রণ নেব। আমি এই রৌপ্য-ভিত্তিক স্থিতিশীলতা ব্যবহার করে বিশ্বের অর্থনৈতিক অস্থিরতাকে আমার অনুকূলে নিয়ে আসব। নতুন বিশ্বব্যবস্থা তৈরি হবে, যেখানে আমরাই হবো নতুন নবাব।" শেষ চাল এবং সত্যের বিস্ফোরণ: চূড়ান্ত কৌশল অনির্বাণ বুঝতে পারলেন, মীর কাসিমের শেষ চাল ছিল এই দলিলগুলো গোপন রাখা নয়—বরং সঠিক সময়ে তা উন্মোচন করা। "আপনি এই সত্যকে চেপে দিতে চান," অনির্বাণ বললেন। "কিন্তু ইতিহাসের এই সত্য চাপা পড়ে থাকার জন্য আড়াইশো বছর অপেক্ষা করেনি।" "কথা কম বলো," রণজিৎ ফাইলটি নিয়ে ঘুরে দাঁড়ালেন। "ইরা, সব প্রমাণ মুছে ফেলো।" ইরা এবার দ্বিধা না করে তার কাজ শুরু করল। সে তাম্রপাত্রটির কাছে গেল, কিন্তু ভাঙার আগে সে রণজিৎকে সামান্য দেরি করানোর জন্য একটি নাটকীয় প্রশ্ন করল, "বস, আপনি এই ফর্মুলা কীভাবে ব্যবহার করবেন, সেটা বলুন। শুধু ধ্বংস নয়, এর ক্ষমতা জানা প্রয়োজন।" রণজিৎ উত্তর দিতে গিয়ে এক মুহূর্তের জন্য দ্বিধান্বিত হলেন। ঠিক এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে অনির্বাণ শেষ চেষ্টা করলেন। "আপনি কি জানেন, নবাব এই তাম্রপাত্রে একটি অ্যাসিড-প্রুফ কালি ব্যবহার করেছিলেন?" রণজিৎ চমকে উঠলেন। অনির্বাণ ব্যাখ্যা করলেন, "এই তাম্রপাত্রের তলদেশে আরেকটি সঙ্কেত আছে। এই গোপন প্রকোষ্ঠটি হলো একটি 'টাইম ক্যাপসুল'। নবাব জানতেন, লোভীরা সোনা খুঁজবে, আর সত্য চাপা দিতে চাইবে।" অনির্বাণ দ্রুত একটি ছোট পাথর তুলে নিয়ে তাম্রপাত্রের নিচে সজোরে আঘাত করলেন। পাত্রটি দু'ভাগ হয়ে গেল। ভাঙা অংশ থেকে একটি বিশেষ সীলমোহর বেরিয়ে এলো। সীলমোহরের উপর নবাবের নিজস্ব বিশেষ সাংকেতিক চিহ্ন ছিল। অনির্বাণ দ্রুত একটি আধুনিক ডিজিটাল ক্যামেরা বের করলেন। মুঙ্গেরে নদীর জলে ভেসে যাওয়ার সময় তিনি এই ক্যামেরাটি সুরক্ষিত করেছিলেন। তিনি দ্রুত বিশ্বাসঘাতকতার দলিল এবং আর্থিক ফর্মুলার ছবি তুললেন। এরপর সেই সীলমোহরটিকে (যা আল-কুতুবের কৌটার একটি উন্নত সংস্করণ ছিল) দ্রুত তার ক্যামেরার ওয়াইফাই ট্রান্সমিটারের সঙ্গে যুক্ত করলেন। "এই সীলমোহরটি কেবল একটি জিনিসই করতে পারে," অনির্বাণ বললেন। "এটা এমনভাবে তৈরি যে, এটি যখন কোনো বিশেষ তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসে, তখন এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি সঙ্কেত পাঠায়। আপনার হাতে থাকা সেই আর্থিক ফর্মুলা আর বিশ্বাসঘাতকতার দলিল—এগুলো এখন আমার ক্যামেরার মাধ্যমে উচ্চ এনক্রিপশনের সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে, বস।" অনির্বাণ হেসে ফেললেন। তিনি তাম্রপাত্র ভাঙার সময় সীলমোহরটিকে পাথরের ঘর্ষণে কিছুটা গরম করেছিলেন, যা তার 'স্বয়ংক্রিয় প্রেরক' যন্ত্রটি সক্রিয় করার জন্য যথেষ্ট ছিল। নবাবের সেই যুগান্তকারী ফর্মুলা এবং বিশ্বাসঘাতকতার প্রমাণ এখন উন্মুক্ত। রণজিৎ অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকালেন। তিনি দ্রুত তার ফাইলটি খুললেন, কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। তার নতুন বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন মুহূর্তে ধূলিসাৎ হয়ে গেল। রণজিৎ ক্রোধান্বিত হয়ে অনির্বাণের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। তাদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত কিন্তু তীব্র ধস্তাধস্তি হলো। রণজিৎ অনির্বাণকে আঘাত করে দলিলগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেন, কিন্তু অনির্বাণ দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করলেন। রণজিৎ যখন বুঝতে পারলেন যে ডিজিটাল ট্রান্সমিশন সম্পূর্ণ, তখন তার ক্রোধ হতাশায় পরিণত হলো। এদিকে, জামাইল যখন ইরাকে আটকাতে চাইল, তখন ইরা সরাসরি জামাইলের চোখে তাকাল। "আমার বাবা মীর কাসিমের সত্যের জন্য নিখোঁজ হননি, জামাইল। তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন বস-এর লোভের জন্য। নবাবের প্রতিশোধ শুরু হয়েছে, জামাইল।" জামাইল কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। ঠিক সেই সময়, গুপ্ত কক্ষের দরজা সশব্দে খুলে গেল। ফারুক আহমেদ, যিনি দরজার বাইরে ছিলেন, তিনি বুঝতে পারলেন, রণজিতের খেলা শেষ। তিনি পালাবার চেষ্টা করলেন। কিন্তু দরজা বন্ধ হয়ে গেল। বাইরে ছিল ঢাকার স্থানীয় পুলিশের একটি দল, যাদের ইরাই সময়মতো তার নিজস্ব এনক্রিপ্টেড চ্যানেলে খবর দিয়েছিল। রণজিৎ চৌধুরী, জামাইল এবং ফারুক আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হলো। ইরা শেষ মুহূর্তে অনির্বাণের দিকে তাকাল। তার চোখে আর কোনো শীতলতা ছিল না, ছিল এক ধরণের মিশ্র অনুভূতি—মুক্তি এবং পরাজয়। সে নিজেই পুলিশের হাতে ধরা দিল।

Share this story

Comments

Discussion

No comments

Please sign in to join the discussion