যখন রোহানের জ্ঞান ফিরল, সে নিজেকে আবিষ্কার করল এক সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে। তার চারপাশে ছিল ঘন সবুজ বন, যেখানে গাছগুলো ছিল অস্বাভাবিক উঁচু এবং তাদের পাতাগুলো ছিল উজ্জ্বল নীল রঙের, যেন তারা আকাশের রঙ চুরি করেছে। মাটি ছিল নরম ঘাসে ঢাকা, প্রতিটি ঘাস যেন রেশমের মতো কোমল। বাতাসে ভেসে আসছিল মিষ্টি ফুলের সুবাস, যা তার মনকে শান্ত করে দিচ্ছিল, কিন্তু তার সাথে মিশে ছিল একটা অদ্ভুত, অচেনা গন্ধ, যা তাকে সতর্ক করে তুলল, যেন কোনো বিপদ লুকিয়ে আছে, তার ঘাড়ের লোম খাড়া হয়ে গেল, তার মনে একটা চাপা ভয় জাগিয়ে তুলল। মাথার উপরে আকাশ ছিল গাঢ় বেগুনি রঙের, যেখানে দুটি চাঁদ মৃদু আলো ছড়াচ্ছিল – একটি ছিল সোনালী, অন্যটি ছিল রূপালী। তাদের আলোয় বনভূমি এক রহস্যময় আভা ধারণ করেছিল, যা একই সাথে সুন্দর এবং ভীতিকর ছিল, যেন কোনো অশুভ শক্তি লুকিয়ে আছে, তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। রোহান নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিল না। সে সত্যিই এক অন্য জগতে এসে পড়েছে! তার মনে হচ্ছিল সে যেন কোনো স্বপ্নের মধ্যে আছে, কিন্তু এই স্বপ্ন ছিল ভীতিকর বাস্তব, যা তাকে গ্রাস করতে চাইছিল, তার আত্মাকে টানছিল।
সে উঠে দাঁড়াল। তার শরীর হালকা লাগছিল, যেন সে বাতাসের উপর ভাসছে, কিন্তু তার মনে এক মিশ্র অনুভূতি – ভয়, বিস্ময়, আর উত্তেজনা, যা তার মনকে গ্রাস করছিল। সে মানচিত্রটি পরীক্ষা করল। মানচিত্রটি তখনও তার হাতে ছিল, কিন্তু নীল রত্নটি এখন আর আলো দিচ্ছিল না, বরং তার রঙ ছিল ফিকে, যেন তার শক্তি শেষ হয়ে গেছে, আর তার মধ্যে একটা চাপা কালো আভা ছিল, যা তাকে সতর্ক করে তুলল। সে বুঝতে পারল, এই মানচিত্রই তাকে এই জগতে নিয়ে এসেছে, এবং এটিই তার একমাত্র সংযোগ তার পুরোনো জগতের সাথে। তার মনে হলো যেন সে এক বিশাল ফাঁদে আটকা পড়েছে, যেখান থেকে বের হওয়া অসম্ভব, আর তার প্রতিটি পদক্ষেপ যেন কেউ লক্ষ্য করছে, তার শ্বাস-প্রশ্বাস শুনছে।
সে হাঁটতে শুরু করল, বনের গভীরে, প্রতিটি পদক্ষেপে নতুন কিছু আবিষ্কারের আশায়। কিন্তু তার প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল সতর্ক, যেন যেকোনো মুহূর্তে বিপদ আসতে পারে। বনের নীরবতা ছিল অস্বাভাবিক, যেন প্রতিটি প্রাণী ভয়ে লুকিয়ে আছে, আর তার মধ্যে একটা চাপা গোঙানির শব্দ ভেসে আসছিল, যা তার মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল। কিছুদূর যাওয়ার পর সে একটি ছোট ঝর্ণার শব্দ শুনতে পেল। ঝর্ণার কাছে গিয়ে সে দেখল, জল ছিল স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ, তার তলদেশ পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। আর তার চারপাশে কিছু অদ্ভুত ফুল ফুটে আছে, যা পৃথিবীতে দেখা যায় না – তাদের পাপড়িগুলো ছিল আলোর মতো উজ্জ্বল, আর তাদের সুবাস ছিল মন্ত্রমুগ্ধকর। সে অঞ্জলি ভরে জল পান করল। জল ছিল মিষ্টি আর শীতল, যা তার ক্লান্তি দূর করে দিল এবং তাকে এক নতুন শক্তি দিল। কিন্তু জল পান করার পর তার মনে হলো যেন তার শরীরটা একটু ভারী হয়ে গেছে, আর তার মনে একটা চাপা অস্বস্তি তৈরি হলো, যেন জলটা তাকে গ্রাস করতে চাইছে, তার আত্মাকে টানছে।
হঠাৎ, সে একটি মৃদু খসখস শব্দ শুনতে পেল। রোহান সতর্ক হয়ে উঠল, তার হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল, তার শরীর হিম হয়ে গেল। বনের গাছগুলো এত ঘন ছিল যে সে দেখতে পাচ্ছিল না শব্দটা কোথা থেকে আসছে। সে একটি বড় গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়ল, তার চোখ চারপাশে সতর্ক ছিল, তার শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হচ্ছিল, তার হাত কাঁপছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে দেখল, একটি অদ্ভুত প্রাণী তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। প্রাণীটি ছিল একটি ছোট হরিণের মতো, কিন্তু তার শিংগুলো ছিল স্ফটিকের তৈরি, যা সূর্যের আলোয় ঝলমল করছিল, এবং তার লোম ছিল উজ্জ্বল সোনালী রঙের, যেন তা সোনা দিয়ে তৈরি। প্রাণীটি রোহানকে দেখতে না পেয়ে শান্তভাবে হেঁটে চলে গেল, তার প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল মৃদু এবং ছন্দময়। রোহান স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। এই জগৎ ছিল সুন্দর, কিন্তু তার বিপদও ছিল অজানা, যা তাকে গ্রাস করতে চাইছিল। সে অনুভব করল যেন কেউ তাকে দূর থেকে দেখছে, তার প্রতিটি নড়াচড়া অনুসরণ করছে, তার প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাস শুনছে, আর তার মনে হলো যেন সে একা নয়, তার চারপাশে অদৃশ্য চোখ রয়েছে।
সে আবার হাঁটতে শুরু করল। বনের গভীরে যেতে যেতে সে একটি খোলা জায়গায় পৌঁছাল। সেখানে একটি প্রাচীন পাথরের তৈরি কাঠামো ছিল, যা দেখে মনে হচ্ছিল এটি বহু বছর ধরে পরিত্যক্ত। কাঠামোটি ছিল লতাগুল্মে ঢাকা, কিন্তু তার স্থাপত্য ছিল অসাধারণ, প্রতিটি পাথরে যেন প্রাচীন শিল্পীর হাতের ছাপ স্পষ্ট। রোহান কাঠামোটির কাছে গেল। সে দেখল, তার দেওয়ালে অদ্ভুত কিছু চিত্র খোদাই করা আছে, যা কোনো প্রাচীন সভ্যতার গল্প বলছে – ড্রাগন, জাদুকর, এবং অজানা বীরদের ছবি। কিন্তু কিছু ছবিতে দেখা যাচ্ছিল বিকৃত মুখ, যা দেখে মনে হচ্ছিল তারা যন্ত্রণায় চিৎকার করছে, আর তাদের চোখগুলো ছিল শূন্য, যেন তাদের আত্মা গ্রাস করা হয়েছে, আর তাদের চিৎকার বাতাসে ভেসে আসছিল।
সে যখন কাঠামোটির ভেতরে প্রবেশ করল, সে একটি মৃদু কণ্ঠস্বর শুনতে পেল। কণ্ঠস্বরটি ছিল বৃদ্ধ এবং জ্ঞানী, যেন শতাব্দীর জ্ঞান তার মধ্যে লুকিয়ে আছে, কিন্তু তার সাথে মিশে ছিল একটা চাপা দুঃখ আর এক অজানা ভয়, যা তার মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল, তার আত্মাকে গ্রাস করতে চাইছিল। "কে তুমি, তরুণ পথিক, যে আমাদের পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ করেছ?" কণ্ঠস্বরটি যেন তার মনের গভীরে প্রবেশ করছিল, তার আত্মাকে গ্রাস করতে চাইছিল, তার প্রতিটি শব্দ যেন তার কানে বাজছিল।
রোহান চমকে উঠল, তার শরীর হিম হয়ে গেল, তার হাত-পা কাঁপছিল। সে চারপাশে তাকাল, কিন্তু কাউকে দেখতে পেল না। "কে কথা বলছেন?" সে জিজ্ঞেস করল, তার কণ্ঠস্বর কাঁপছিল, তার মনে হচ্ছিল যেন সে কোনো ফাঁদে আটকা পড়েছে, যেখান থেকে বের হওয়া অসম্ভব।
"আমি এই স্থানের রক্ষক, আরিস," কণ্ঠস্বরটি বলল, এবার কণ্ঠস্বরটি আরও স্পষ্ট হলো, কিন্তু তার উৎস ছিল অস্পষ্ট, যেন তা বাতাস থেকে আসছে, তার প্রতিটি শব্দ যেন তার মনে প্রবেশ করছিল। "তুমি কি সেই, যার আসার কথা ছিল? নাকি তুমি সেই অন্ধকারের দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে এসেছ? এই স্থানে প্রবেশ করা তোমার জন্য নিরাপদ নয়, তরুণ। তুমি কি জানো না কী বিপদ অপেক্ষা করছে? এই কাঠামোতে অনেক আত্মা আটকে আছে।"
রোহান বিভ্রান্ত হয়ে পড়ল। "আমি রোহান। আমি জানি না আপনারা কীসের কথা বলছেন। আমি শুধু একটি মানচিত্র অনুসরণ করে এখানে এসেছি." তার মনে হলো যেন সে কোনো ভুল জায়গায় এসে পড়েছে, আর তার জীবন বিপন্ন, তার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তখনই একটি উজ্জ্বল আলো কাঠামোটির মাঝখানে জ্বলে উঠল, এবং আলোর মধ্যে থেকে একজন বৃদ্ধ মানুষ আবির্ভূত হলেন। তার লম্বা সাদা দাড়ি ছিল, যা তার বুক পর্যন্ত নেমে এসেছিল, এবং তার চোখ ছিল গভীর ও জ্ঞানী, যেন তারা মহাবিশ্বের রহস্য ধারণ করে আছে, কিন্তু তার চোখের কোণে ছিল এক গভীর ক্লান্তি আর এক চাপা ভয়, যেন তিনি অনেক কিছু দেখেছেন, যা তাকে যন্ত্রণা দিয়েছে। তিনি একটি লম্বা জাদুর লাঠি ধরে ছিলেন, যা থেকে মৃদু আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছিল, যেন তা তার নিজেরই অংশ, কিন্তু সেই আলোতে একটা ভুতুড়ে আভা ছিল, যা তার মনে ভয় জাগিয়ে তুলল।
"আমি আরিস, এলডোরিয়ার প্রাচীন জাদুকরদের শেষ বংশধর," বৃদ্ধ বললেন, তার কণ্ঠে ছিল এক অদ্ভুত শান্ততা, কিন্তু তার চোখে ছিল এক গভীর উদ্বেগ, যেন তিনি কোনো ভয়ানক ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন, যা তাদের গ্রাস করবে। "তুমি সেই, যাকে প্রাচীন ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে এই জগতে আসার কথা ছিল। কিন্তু তোমার আগমন এত দেরিতে কেন? অন্ধকার আমাদের গ্রাস করছে, তার শক্তি বাড়ছে প্রতিটি মুহূর্তে, আর আমরা প্রায় শেষ হয়ে গেছি। ছায়া প্রভু তার অনুচরদের চারিদিকে ছড়িয়ে দিয়েছে।"
রোহান হতবাক হয়ে গেল। "ভবিষ্যদ্বাণী? আমি? কিন্তু আমি তো একজন সাধারণ ছেলে। আমি কোনো জাদু জানি না।" তার মনে হলো যেন সে কোনো বিশাল দায়িত্বের নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছে, আর তার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তার শরীর কাঁপছিল।
"সাধারণ নও, তরুণ। তোমার রক্তে প্রাচীন জাদুর শক্তি প্রবাহিত হচ্ছে, যা তুমি নিজেও জানো না," আরিস বললেন, তার চোখে এক অদ্ভুত হাসি, কিন্তু সেই হাসি ছিল বিষাদের, যেন তিনি কোনো কঠিন সত্য লুকাচ্ছেন, যা রোহানকে গ্রাস করতে পারে। "বহু শতাব্দী আগে, আমাদের এই জগৎ, এলডোরিয়া, এক মহাজাদুকরের দ্বারা সুরক্ষিত ছিল। কিন্তু সেই জাদুকর যখন অদৃশ্য হয়ে গেলেন, তখন এক অশুভ শক্তি, যার নাম 'ছায়া প্রভু', আমাদের জগৎকে গ্রাস করতে শুরু করল। সে এলডোরিয়ার প্রতিটি কোণায় তার অন্ধকার ছড়িয়ে দিচ্ছে, আর আমাদের জাদু ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গাছগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে, নদীগুলো বিষাক্ত হচ্ছে, আর প্রাণীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তার প্রভাব এখন আমাদের মনের গভীরেও প্রবেশ করছে, মানুষকে উন্মাদ করে তুলছে, তাদের আত্মাকে গ্রাস করছে, তাদের একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে।"
আরিস রোহানকে এলডোরিয়ার ইতিহাস সম্পর্কে বললেন। কীভাবে একসময় এলডোরিয়া ছিল জাদু আর সৌন্দর্যের এক স্বর্গরাজ্য, কিন্তু কীভাবে ছায়া প্রভুর আগমনে সব কিছু বদলে গেল। "প্রাচীন ভবিষ্যদ্বাণী বলে, এক অন্য জগৎ থেকে একজন আসবে, যার রক্তে প্রাচীন জাদুর শক্তি আছে, এবং সে-ই এলডোরিয়াকে ছায়া প্রভুর হাত থেকে রক্ষা করবে," আরিস বললেন। "সেই মানচিত্রটি ছিল তোমার পূর্বপুরুষদের তৈরি, যা তোমাকে এখানে নিয়ে আসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। তোমার পূর্বপুরুষরা ছিলেন এলডোরিয়ার প্রাচীন জাদুকরদের একটি শাখা, যারা অন্য জগতে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু ছায়া প্রভু সেই ভবিষ্যদ্বাণী সম্পর্কে জানে, এবং সে তোমাকে আটকাতে চেষ্টা করবে। সে তোমার প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসরণ করবে, তোমার প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাস শুনবে, আর তোমার সবচেয়ে খারাপ ভয়গুলো তোমার সামনে তুলে ধরবে, যা তোমাকে গ্রাস করতে চাইবে।"
রোহান তখনও বিশ্বাস করতে পারছিল না। সে একজন সাধারণ ছেলে, কীভাবে সে এত বড় দায়িত্ব পালন করবে? "কিন্তু আমি তো কোনো জাদু জানি না," সে বলল, তার কণ্ঠে ছিল সংশয়। "আরিস, আমি কি পারব? আমি কি এই বিশাল শত্রুর মোকাবিলা করতে পারব? আমি তো শুধু একজন কিশোর, আমার কোনো অভিজ্ঞতা নেই।"
"জানো না, কিন্তু শিখতে পারবে," আরিস বললেন, তার চোখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল। "তোমার ভেতরে সেই শক্তি সুপ্ত আছে, তোমাকে শুধু তাকে জাগিয়ে তুলতে হবে। তোমার পূর্বপুরুষদের রক্ত তোমাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে। তোমাকে সেই শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে হবে, আর এলডোরিয়াকে রক্ষা করতে হবে। কিন্তু পথ কঠিন হবে, তোমার মনকেও পরীক্ষা করা হবে, এবং তোমার সবচেয়ে খারাপ ভয়গুলো তোমার সামনে আসবে, যা তোমাকে গ্রাস করতে চাইবে, তোমার আত্মাকে টেনে নেবে।"
রোহানের মনে এক নতুন আশার জন্ম হলো, কিন্তু তার সাথে মিশে ছিল এক গভীর উদ্বেগ। সে এতদিন যে অ্যাডভেঞ্চারের স্বপ্ন দেখত, তা এখন বাস্তব হতে চলেছে, কিন্তু তার সাথে মিশে ছিল এক অজানা বিপদ, যা তাকে গ্রাস করতে চাইছিল, তার আত্মাকে টানছিল। তার স্বপ্নগুলো যেন জীবন্ত হয়ে উঠল, কিন্তু তার সাথে মিশে ছিল একটা ভয়ের অনুভূতি, যা তার প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাসকে ভারী করে তুলল। সে এলডোরিয়াকে রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত হলো, তার মনে এক নতুন দৃঢ়তা, কিন্তু তার মনে হলো যেন কেউ তাকে দূর থেকে দেখছে, তার প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসরণ করছে, তার প্রতিটি চিন্তাভাবনা পড়ছে, আর তার চারপাশে একটা শীতল আভা ছড়িয়ে পড়ছে, যা তাকে প্রতি মুহূর্তে সতর্ক করে তুলল।
Comments
Discussion
No commentsPlease sign in to join the discussion