Episode 51587 words0 views

অধ্যায় ৫: প্রাচীন মন্দিরের রহস্য

রোহান, আরিয়ান, লিয়ানা এবং ইভলিন তাদের যাত্রা শুরু করল। তাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল এলডোরিয়ার প্রাচীন মন্দির, যা নাকি ছায়া প্রভুর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। আরিস বলেছিলেন যে মন্দিরের ভেতরে একটি প্রাচীন জাদুর স্ফটিক লুকানো আছে, যা ছায়া প্রভুর শক্তিকে দুর্বল করতে পারে। এই স্ফটিকটি ছিল এলডোরিয়ার প্রাচীন জাদুর একটি অংশ, যা বহু শতাব্দী ধরে মন্দিরের গভীরে লুকানো ছিল, কিন্তু এখন তা অন্ধকারের দ্বারা কলুষিত, তার থেকে একটা চাপা কালো আভা বের হচ্ছিল, যা তাদের মনে ভয় জাগিয়ে তুলছিল, তাদের আত্মাকে গ্রাস করতে চাইছিল। পথ ছিল বিপদসংকুল। তারা বনের গভীরে প্রবেশ করল, যেখানে গাছগুলো ছিল কালো এবং মৃতপ্রায়, তাদের ডালপালাগুলো ছিল শুকনো এবং কর্কশ, যেন তারা যন্ত্রণায় চিৎকার করছে। বাতাস ছিল ভারী, আর তার মধ্যে এক অদ্ভুত দুর্গন্ধ ভেসে আসছিল, যা তাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল, যেন তারা কোনো পচা মাংসের গন্ধ পাচ্ছে। তারা দেখল, কিছু অদ্ভুত প্রাণী তাদের দিকে তাকিয়ে আছে, যাদের চোখগুলো ছিল লাল এবং জ্বলন্ত, তাদের শরীর ছিল বিকৃত, আর তাদের মুখ থেকে লালা ঝরছিল। এই প্রাণীগুলো ছিল ছায়া প্রভুর দ্বারা প্রভাবিত, এবং তারা তাদের আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। তাদের নখগুলো ছিল ধারালো, আর তাদের প্রতিটি নড়াচড়ায় একটা চাপা গোঙানির শব্দ হচ্ছিল। বনের প্রতিটি ছায়া যেন তাদের দিকে তাকিয়ে হাসছিল, তাদের মনে ভয় জাগিয়ে তুলছিল, তাদের সবচেয়ে খারাপ ভয়গুলো তাদের সামনে তুলে ধরছিল, তাদের উন্মাদ করে তুলছিল। আরিয়ান তার তলোয়ার বের করল, তার তলোয়ারের ফলা সূর্যের আলোয় ঝলমল করছিল, কিন্তু সেই আলোতে একটা অদ্ভুত অন্ধকারও মিশে ছিল, যেন তা কোনো অশুভ শক্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে, আর লিয়ানা তার ছুরি হাতে নিল, তার চোখগুলো ছিল সতর্ক, তার প্রতিটি নড়াচড়া ছিল দ্রুত। রোহান তার জাদু ব্যবহার করে একটি আলোর ঢাল তৈরি করল, যা তাদের রক্ষা করল, কিন্তু ঢালটি যেন ক্ষণে ক্ষণে দুর্বল হয়ে যাচ্ছিল, তার শক্তি কমে আসছিল। ইভলিন তার ভেষজ জ্ঞান ব্যবহার করে কিছু ধোঁয়া তৈরি করলেন, যা প্রাণীগুলোকে বিভ্রান্ত করল এবং তাদের দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিল, কিন্তু ধোঁয়াগুলো যেন তাদের নিজেদের মনকেও বিভ্রান্ত করছিল, তাদের সবচেয়ে খারাপ ভয়গুলো তাদের সামনে তুলে ধরছিল। তারা একসাথে লড়াই করল, তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল সমন্বিত। আরিয়ান তার তলোয়ার দিয়ে প্রাণীগুলোকে আঘাত করল, লিয়ানা তাদের পাশ কাটিয়ে গেল, আর রোহান তার জাদু দিয়ে তাদের দূরে সরিয়ে দিল। তারা প্রাণীগুলোকে পরাজিত করল, কিন্তু এই লড়াই তাদের অনেক শক্তি ক্ষয় করল, তাদের শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল, আর তাদের মনে একটা চাপা ভয় ঢুকে গিয়েছিল, যা তাদের তাড়া করছিল, তাদের আত্মাকে গ্রাস করতে চাইছিল। কিছুদূর যাওয়ার পর তারা প্রাচীন মন্দিরের কাছে পৌঁছাল। মন্দিরটি ছিল কালো পাথরের তৈরি, তার প্রতিটি পাথরে ছিল প্রাচীনত্বের ছাপ, আর তার চারপাশে ছিল এক অদ্ভুত নীরবতা, যা তার ভয়াবহতা আরও বাড়িয়ে তুলছিল। মন্দিরের প্রবেশদ্বার ছিল বন্ধ, আর তার উপরে কিছু অদ্ভুত প্রতীক খোদাই করা ছিল, যা দেখে মনে হচ্ছিল এটি কোনো প্রাচীন অভিশাপ। প্রতীকগুলো ছিল কালো এবং রহস্যময়, তাদের থেকে একটা চাপা শক্তি বিচ্ছুরিত হচ্ছিল, যা তাদের মনকে প্রভাবিত করছিল। "এই প্রতীকগুলো আমি চিনি," ইভলিন বললেন, তার চোখগুলো ছিল তীক্ষ্ণ, কিন্তু তার মুখে ছিল উদ্বেগ। "এগুলো প্রাচীন জাদুর প্রতীক। মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করার জন্য আমাদের এই প্রতীকগুলো সক্রিয় করতে হবে। এই প্রতীকগুলো এলডোরিয়ার প্রাচীন জাদুকরদের দ্বারা তৈরি, কিন্তু ছায়া প্রভু এদের কলুষিত করেছে, আর এদের মধ্যে তার অন্ধকার শক্তি লুকিয়ে আছে, যা আমাদের গ্রাস করতে পারে।" রোহান তার জাদু ব্যবহার করে প্রতীকগুলো সক্রিয় করার চেষ্টা করল। সে তার মনের শক্তি দিয়ে প্রতীকগুলোতে আলো ছড়াল। ধীরে ধীরে প্রতীকগুলো আলোকিত হতে শুরু করল, তাদের রঙ কালো থেকে নীল হয়ে গেল, কিন্তু সেই নীল আলোতে একটা ভুতুড়ে আভা ছিল, যেন তা কোনো অশরীরী উপস্থিতি, এবং মন্দিরের প্রবেশদ্বার খুলে গেল, তার শব্দ ছিল মৃদু এবং গম্ভীর, যেন কোনো প্রাচীন দানব জেগে উঠছে, তার শ্বাস-প্রশ্বাস শোনা যাচ্ছিল। প্রবেশদ্বারের ভেতরে ছিল গভীর অন্ধকার, যা তাদের গ্রাস করতে চাইছিল, তার মধ্যে একটা চাপা গোঙানির শব্দ ভেসে আসছিল, যা তাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল, তাদের আত্মাকে গ্রাস করতে চাইছিল। তারা মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করল। মন্দিরের ভেতরে ছিল অন্ধকার এবং শীতল, তার বাতাস ছিল ভারী এবং বিষাক্ত, তার মধ্যে একটা পচা গন্ধ ভেসে আসছিল। তাদের চারপাশে ছিল প্রাচীন মূর্তি আর খোদাই করা চিত্র, যা দেখে মনে হচ্ছিল তারা কোনো ভয়ানক গল্প বলছে, তাদের চোখগুলো যেন তাদের দিকে তাকিয়ে আছে, তাদের মনে ভয় জাগিয়ে তুলছিল। তারা দেখল, মন্দিরের মাঝখানে একটি বড় বেদি আছে, আর বেদির উপরে একটি স্ফটিক রাখার জায়গা আছে। কিন্তু স্ফটিকটি সেখানে ছিল না, কেবল একটি শূন্য স্থান পড়ে ছিল, যা থেকে একটা চাপা ঠান্ডা বাতাস বের হচ্ছিল, যেন তা কোনো অশরীরী উপস্থিতি। "মনে হচ্ছে স্ফটিকটি এখানে নেই," আরিয়ান বলল, তার কণ্ঠে ছিল হতাশা। "ছায়া প্রভু হয়তো এটাকে সরিয়ে ফেলেছে। এটা আমাদের জন্য আরও কঠিন হবে।" লিয়ানা মন্দিরের চারপাশে অনুসন্ধান করতে শুরু করল। সে তার চতুরতা ব্যবহার করে গোপন পথ আর ফাঁদ খুঁজে বের করতে লাগল। সে প্রতিটি পাথরের দিকে মনোযোগ দিল, প্রতিটি কোণায় অনুসন্ধান করল। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে একটি গোপন পথ খুঁজে পেল, যা মন্দিরের গভীরে যাচ্ছিল। পথটি ছিল একটি লুকানো দরজার পেছনে, যা একটা প্রাচীন ধাঁধার মাধ্যমে খোলা যেত, আর তার মধ্যে ছিল একটা চাপা হুমকি, যা তাদের মনে ভয় জাগিয়ে তুলছিল। তারা গোপন পথে প্রবেশ করল। পথটি ছিল অন্ধকার এবং সরু, তার বাতাস ছিল স্যাঁতসেঁতে, আর তার মধ্যে একটা চাপা গোঙানির শব্দ ভেসে আসছিল, যা তাদের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছিল। তারা সাবধানে হাঁটছিল, কারণ তারা জানত যে এখানে যেকোনো সময় বিপদ আসতে পারে। তাদের মনে হচ্ছিল যেন গুহার দেয়ালগুলো তাদের দিকে এগিয়ে আসছে, তাদের গ্রাস করতে চাইছে। কিছুদূর যাওয়ার পর তারা একটি বড় কক্ষে পৌঁছাল। কক্ষটি ছিল অন্ধকার, আর তার মাঝখানে একটি বড় স্ফটিক ছিল, যা থেকে মৃদু কালো আলো বিচ্ছুরিত হচ্ছিল, যেন তা নিজেই অন্ধকারের উৎস। স্ফটিকটি ছিল বিশাল এবং তার চারপাশে ছিল এক অদ্ভুত শক্তি, যা তাদের মনকে প্রভাবিত করছিল। তাদের মনে হচ্ছিল যেন তাদের সবচেয়ে খারাপ স্বপ্নগুলো জীবন্ত হয়ে উঠছে, আর তাদের সবচেয়ে প্রিয়জনদের মুখগুলো বিকৃত হয়ে যাচ্ছিল, তাদের আত্মাকে গ্রাস করতে চাইছিল। "এই তো সেই স্ফটিক," রোহান বলল, তার কণ্ঠে ছিল বিস্ময়, কিন্তু তার মনে ছিল একটা চাপা ভয়। "কিন্তু এটা তো কালো! আরিস বলেছিলেন এটি নীল। ছায়া প্রভু এটাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে, আর এর মধ্যে তার আত্মা লুকিয়ে আছে।" ইভলিন স্ফটিকটি পরীক্ষা করলেন। "ছায়া প্রভু এই স্ফটিকটিকে তার অন্ধকার শক্তি দিয়ে প্রভাবিত করেছে," তিনি বললেন, তার চোখে ছিল উদ্বেগ। "আমাদের এই স্ফটিকটিকে শুদ্ধ করতে হবে, না হলে এটি আমাদের কোনো কাজে আসবে না। এই স্ফটিকের অন্ধকার আমাদের গ্রাস করতে পারে, আমাদের আত্মাকে গ্রাস করতে পারে, আর আমাদের উন্মাদ করে তুলতে পারে।" হঠাৎ, কক্ষের ভেতরে কিছু ছায়ামূর্তি আবির্ভূত হলো। এই ছায়ামূর্তিগুলো ছিল ছায়া প্রভুর অনুচর, তাদের শরীর ছিল ধোঁয়া দিয়ে তৈরি, আর তাদের চোখগুলো ছিল লাল এবং জ্বলন্ত। তারা স্ফটিকটিকে রক্ষা করার জন্য এসেছিল। ছায়ামূর্তিগুলো তাদের আক্রমণ করল, তাদের গতি ছিল দ্রুত, আর তাদের প্রতিটি নড়াচড়ায় একটা চাপা শব্দ হচ্ছিল, যেন তারা বাতাসে ফিসফিস করছে, তাদের প্রতিটি শব্দ যেন তাদের মনে ভয় জাগিয়ে তুলছিল। আরিয়ান তার তলোয়ার দিয়ে ছায়ামূর্তিগুলোকে আক্রমণ করল। তার প্রতিটি আঘাত ছিল নির্ভুল, কিন্তু ছায়ামূর্তিগুলো ধোঁয়ার মতো তার তলোয়ার ভেদ করে যাচ্ছিল, যেন তারা অশরীরী। লিয়ানা তার ছুরি দিয়ে তাদের পাশ কাটিয়ে গেল, তার গতি ছিল বিদ্যুতের মতো দ্রুত, আর রোহান তার জাদু ব্যবহার করে আলোর গোলক তৈরি করে তাদের দিকে ছুঁড়ে দিল। ইভলিন তার ভেষজ জ্ঞান ব্যবহার করে কিছু ধোঁয়া তৈরি করলেন, যা ছায়ামূর্তিগুলোকে দুর্বল করল এবং তাদের গতি কমিয়ে দিল, কিন্তু ধোঁয়াগুলো যেন তাদের নিজেদের মনকেও প্রভাবিত করছিল, তাদের সবচেয়ে খারাপ স্মৃতিগুলো তাদের সামনে তুলে ধরছিল। তারা একসাথে লড়াই করল, তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল সমন্বিত। তারা ছায়ামূর্তিগুলোকে পরাজিত করল, কিন্তু স্ফটিকটি তখনও কালো আলো দিচ্ছিল, তার অন্ধকার শক্তি কক্ষকে গ্রাস করছিল। রোহান অনুভব করল যেন স্ফটিকের অন্ধকার তার মনকে টানছে, তাকে তার সবচেয়ে খারাপ স্মৃতিগুলো দেখাচ্ছে, তার সবচেয়ে প্রিয়জনদের মুখগুলো বিকৃত হয়ে যাচ্ছিল। তার মনে হচ্ছিল যেন সে উন্মাদ হয়ে যাচ্ছে, আর তার আত্মা শরীর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। "আমাদের এই স্ফটিকটিকে শুদ্ধ করতে হবে," ইভলিন বললেন, তার কণ্ঠে ছিল দৃঢ়তা, কিন্তু তার শরীর কাঁপছিল। "এর জন্য আমাদের প্রাচীন শুদ্ধিকরণ মন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। এটি একটি কঠিন মন্ত্র, এবং এর জন্য অনেক শক্তির প্রয়োজন। যদি আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে আমরা সবাই এই অন্ধকারের শিকার হব, আর এলডোরিয়া চিরতরে হারিয়ে যাবে, তার আত্মা গ্রাস করা হবে।" রোহান তার জাদু ব্যবহার করে স্ফটিকটিকে স্পর্শ করল। সে তার মনের শক্তি দিয়ে স্ফটিকের মধ্যে প্রবেশ করার চেষ্টা করল। সে অনুভব করল, স্ফটিকের ভেতরে এক বিশাল অন্ধকার শক্তি রয়েছে, যা তাকে গ্রাস করতে চাইছে, তার শরীর কাঁপছিল, তার মনে হচ্ছিল যেন তার আত্মা শরীর থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। স্ফটিকটি তাকে তার সবচেয়ে খারাপ ভয়গুলো দেখাচ্ছিল – তার পরিবারকে হারানোর ভয়, এলডোরিয়ার ধ্বংসের ছবি, তার বন্ধুদের মৃত্যু। কিন্তু রোহান তার শক্তিকে একত্রিত করল, তার মনকে শান্ত করল, এবং শুদ্ধিকরণ মন্ত্র উচ্চারণ করতে শুরু করল। মন্ত্রের প্রতিটি শব্দ তার মুখ থেকে আলোর মতো বের হচ্ছিল, কিন্তু তার সাথে মিশে ছিল একটা চাপা যন্ত্রণা, যেন তার আত্মা পুড়ে যাচ্ছে, আর তার কানে একটা চাপা চিৎকার শোনা যাচ্ছিল। মন্ত্রের প্রভাবে স্ফটিকটি ধীরে ধীরে আলোকিত হতে শুরু করল। কালো আলো ফিকে হয়ে গেল, আর তার জায়গায় একটি উজ্জ্বল নীল আলো দেখা দিল। স্ফটিকটি ধীরে ধীরে পরিষ্কার হতে শুরু করল, এবং তার ভেতরে থাকা অন্ধকার শক্তি বিলীন হয়ে গেল, যেন তা কখনো ছিলই না। কিন্তু স্ফটিকের চারপাশে একটা হালকা কালো আভা তখনও রয়ে গিয়েছিল, যেন অন্ধকারের চিহ্ন সম্পূর্ণভাবে মুছে যায়নি, আর তা যেকোনো মুহূর্তে আবার ফিরে আসতে পারে। যখন স্ফটিকটি সম্পূর্ণ শুদ্ধ হলো, তখন তা থেকে একটি উজ্জ্বল নীল আলো বিচ্ছুরিত হলো, যা পুরো কক্ষকে আলোকিত করল। রোহান অনুভব করল, তার শক্তি বেড়ে গেছে, তার শরীর যেন এক নতুন শক্তিতে ভরে উঠেছে, কিন্তু তার মনে একটা চাপা ক্লান্তিও ছিল, যা তাকে গ্রাস করছিল, তার মনে হচ্ছিল যেন সে আর কখনো সুস্থ হবে না। "আমরা সফল হয়েছি!" রোহান বলল, তার কণ্ঠে ছিল আনন্দ, কিন্তু তার চোখে ছিল এক গভীর ক্লান্তি। আরিয়ান, লিয়ানা, এবং ইভলিন খুশি হলো। তারা জানত, এই স্ফটিকটি তাদের যাত্রায় অনেক সাহায্য করবে। তারা স্ফটিকটি নিয়ে মন্দির থেকে বেরিয়ে এল। তাদের প্রথম লক্ষ্য অর্জিত হয়েছিল, কিন্তু তাদের সামনে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছিল, এবং তারা জানত যে এই স্ফটিক তাদের সেই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে, কিন্তু তার সাথে মিশে ছিল এক অজানা ভয়, যে অন্ধকার হয়তো যেকোনো মুহূর্তে আবার ফিরে আসতে পারে, আর তাদের আত্মাকে গ্রাস করতে চাইবে।

Share this story

Comments

Discussion

No comments

Please sign in to join the discussion