ডার্করুমটা ছোট। কিন্তু অদ্ভুতভাবে পরিষ্কার। একপাশে ডেভেলপিং ট্রে, এনলার্জার (Enlarger), আর রাসায়নিকের বোতলগুলো সাজানো।
আর ঘরের ঠিক মাঝখানে, মেঝেতে আঁকা সেই যন্ত্র (Yantra)।
লাল রঙে আঁকা একটা জটিল জ্যামিতিক নকশা। শুকিয়ে কালচে হয়ে গেছে।
"রক্ত," রাতুল ফিসফিস করলো। "অমিশার রক্ত।"
"হ্যাঁ," পরান বললো। "আর ওই দেখো।"
সে টর্চ ফেললো ঘরের এক কোণে।
সেখানে একটা মানুষের কঙ্কাল বসে আছে। একটা পুরনো ক্যামেরাকে আঁকড়ে ধরে। কঙ্কালের পরনে পচে যাওয়া ধুতি-পাঞ্জাবি।
"কালীপদ," রাতুল চিনতে পারলো।
"সে এই যন্ত্র থেকে বেরোতে পারেনি। অমিশার আত্মা তাকে এখানেই আটকে রেখেছিল," পরান বললো। "কিন্তু এখন সে মুক্ত। এই কঙ্কালটা শুধু খোলস।"
হঠাৎ, রাতুলের টর্চটা দপদপ করে নিভে গেলো।
ঘরটা আবার অন্ধকারে ডুবে গেলো।
"পরান দাদু!" রাতুল চিৎকার করে উঠলো।
"ভয় পেয়ো না," পরানের শান্ত গলা শোনা গেলো। "সে এসে গেছে।"
Comments
Discussion
No commentsPlease sign in to join the discussion