"ও আমাদের ভয় দেখাচ্ছে, শুভ। তার মানে, ও জানে যে আমরা জানি।"
অনন্যা আর শুভ তাদের অফিসের কনফারেন্স রুমে বসেছিল। রাত দশটা। অফিস খালি।
"এখন পিছিয়ে আসার মানে হয় না," শুভ বলল। "চ্যাটার্জি কবে পারমিশন পাবে তার ঠিক নেই। ততদিনে লোকটা হয়তো সব প্রমাণ লোপাট করে দেবে। হয়তো রিয়াকেও..."
"চুপ কর!" অনন্যা ধমকে উঠল। "রিয়া বেঁচে আছে।"
"তাহলে কী করবি?"
"আমাদের ওই বাড়িতে ঢুকতে হবে, অনন্যা। আজ রাতেই।"
"পাগল হয়েছিস? ওই লোকটা একটা সাইকো। আর ওই মিসেস গোমেস, সে-ও কম যায় না।"
"মিসেস গোমেস আজ চার্চে নেই। আমি দেখে এসেছি। উনি সন্ধ্যেবেলা একটা কালো গাড়িতে চেপে এয়ারপোর্টের দিকে গেছেন। হাতে একটা বড় সুটকেস ছিল। হয়তো কোথাও যাচ্ছেন।"
"আর ওই ক্লিনিক্যাল ওয়েস্ট ভ্যান?"
"ওটা রাত দশটায় আসে। এসে আধ ঘণ্টা থাকে। তারপর চলে যায়। ওই ভ্যানটা যখন পেছনের গেট দিয়ে ঢুকবে, তখন ওখানকার সিকিউরিটি ল্যাপস হতে পারে। আমাদের সেই সুযোগটাই নিতে হবে। পেছনের দেওয়ালটা বেশি উঁচু নয়।"
"এটা খুব রিস্কি, শুভ।"
"রিয়ার জন্য এইটুকু রিস্কি নিতে পারবি না? তুই না গেলে আমি একাই যাব।"
অনন্যা চোখ বন্ধ করল। রিয়ার হাসিমুখটা তার মনে পড়ল।
"পারব। চল। রঞ্জন বাবুকে জানিয়ে যাই।"
"না," শুভ বলল। "ওঁকে জানালে উনি যেতে দেবেন না। উনি পুলিশকে ফোন করবেন। আর পুলিশ কিছু করার আগেই সব শেষ হয়ে যাবে। এটা আমাদেরই করতে হবে।"
Comments
Discussion
No commentsPlease sign in to join the discussion