Episode 9195 words0 views

নবম অধ্যায়: প্রবেশ

রাত ন'টা ছাপ্পান্ন। বালিগঞ্জের সেই অন্ধকার গলি। অনন্যা আর শুভ ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে আছে। ঠিক রাত দশটায় কালো ভ্যানটা এলো। পেছনের মস্ত লোহার গেটটা খুলে গেল। ভ্যানটা ভেতরে ঢুকে গেল। গেটটা আবার বন্ধ হওয়ার আগেই, শুভ অনন্যার হাত ধরে দৌড় দিল। "এখন!" তারা গেটের তলা দিয়ে গলে ভেতরে ঢুকে পড়ল। আর ঢুকেই বাগানের একপাশে রাখা মস্ত একটা মার্বেলের মূর্তির আড়ালে লুকিয়ে পড়ল। বাড়ির পেছনের অংশটা অন্ধকার। ভ্যান থেকে দুজন লোক নেমে কিছু প্লাস্টিক ব্যাগ নামাতে লাগল। "শুভ, দেখ," অনন্যা ফিসফিস করল। বাড়ির বেসমেন্ট থেকে একটা স্লাইডিং ডোর খুলে গেল। সেখান থেকে একজন লোক বেরিয়ে এলো। তার সারা গা প্লাস্টিক অ্যাপ্রনে ঢাকা, মুখে মাস্ক। সে ভ্যানের লোকদের সাথে কথা বলছে। "এটাই সুযোগ," শুভ বলল। "বেসমেন্টের দরজাটা খোলা।" তারা মূর্তির আড়াল থেকে বেরিয়ে, হামাগুড়ি দিয়ে বেসমেন্টের দরজার দিকে এগোতে লাগল। ভ্যানের লোকেরা তাদের দেখতে পেল না। তারা বেসমেন্টের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে এলো। নিচে আসতেই একটা তীব্র রাসায়নিক গন্ধে অনন্যার গা গুলিয়ে উঠল। ফরমালিন। সিঁড়িটা যেখানে শেষ হয়েছে, সেটা একটা লম্বা, সাদা করিডোর। হাসপাতালে যেমন থাকে। দেওয়ালগুলোয় সাদা টাইলস। "শুভ, আমার ভয় করছে," অনন্যার দাঁতে দাঁত লাগছিল। "চুপ," শুভ তার হাতটা শক্ত করে ধরল। "তোর কাছে পেপার স্প্রে আছে তো? রেডি রাখ। আর ক্যামেরাটা সাইলেন্ট মোডে রাখ।"

Share this story

Comments

Discussion

No comments

Please sign in to join the discussion