রণজিৎ, ফারুক এবং জয়া মির্জার গ্রেপ্তারের পর সিন্ডিকেটের লর্ড আর্থার ক্রসিংটন-এর নেতৃত্বে এক জরুরি বৈঠক হলো। সমস্ত তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক বাজারে চরম অস্থিরতা দেখা দিল। কিন্তু নবাবের অর্থনৈতিক ফর্মুলার মূল চাবি (Third Level Cipher) অনির্বাণদের হাতে থাকায়, সিন্ডিকেট এটিকে ব্যবহার করে পাল্টা আক্রমণ শুরু করল। তারা Protocol Delta সক্রিয় করল—যার উদ্দেশ্য নবাবের সমস্ত প্রমাণ ও সূত্রকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে ফেলা।
Protocol Delta-র প্রধান কৌশল ছিল "অস্থিরতা তৈরি করে প্রমাণ ধ্বংস"। সিন্ডিকেট বিশ্বব্যাপী বেশ কিছু শেয়ার বাজারে কৃত্রিম মন্দা তৈরি করে মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে দিল, যাতে অনির্বাণ ও ইরা তাদের দলিল রক্ষা করার সময় আন্তর্জাতিকভাবে কোনো সাহায্য না পান।
ক্যাপ্টেন অলিভারের আবির্ভাব: নতুন শিকারী
সিন্ডিকেটের বোর্ড এবার তাদের সবচেয়ে ভয়ংকর, ঠান্ডা মাথার অপারেটিভকে পাঠাল: ক্যাপ্টেন অলিভার (Captain Oliver)। অলিভার ছিলেন ব্রিটিশ সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের একজন প্রাক্তন কর্নেল, যিনি রণজিতের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী এবং নির্মম। তার লক্ষ্য ছিল অনির্বাণ ও ইরার প্রতিষ্ঠিত 'ঐতিহাসিক অর্থনীতি ইনস্টিটিউট'-এ ঢুকে নবাবের মূল চর্মপত্র এবং আল-কুতুবের কৌটা ধ্বংস করা।
অলিভারের দল সরাসরি কলকাতায় অনির্বাণদের ইনস্টিটিউটের দিকে রওনা হলো। তাদের কৌশল জামাইলের মতো ছিল না, তারা বিশ্বাস করত "যা দেখা যায় না, তাকে ধ্বংস করো"।
জামাইলের তথ্য ও পাল্টা ফাঁদ
জামাইল থেকে পাওয়া Delta Override Key এবং সামরিক কৌশলগত ডেটা ব্যবহার করে ইরা সিন্ডিকেটের এনক্রিপশন লজিক বুঝতে পারলেন। জামাইলের তথ্যে ছিল সিন্ডিকেটের সমস্ত আঞ্চলিক যোগাযোগের পদ্ধতি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—অলিভারের দলের আক্রমণের "টাইমিং প্রোফাইল"।
"অলিভার সাধারণ শিকারী নয়," ইরা অনির্বাণকে জানালেন। "ও এমনভাবে আক্রমণ করবে যেন মনে হয় কোনো সাইবার সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। কোনো সাক্ষী থাকবে না, কেবল ধ্বংসের চিহ্ন।"
অনির্বাণ, ইরা এবং জামাইল (ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে) মিলে Protocol Delta ঠেকানোর জন্য একটি হাইব্রিড কৌশল তৈরি করলেন।
Comments
Discussion
No commentsPlease sign in to join the discussion