নিথর পদচিহ্ন (Frozen Footprints)
পর্ব ৭: নীল রায়
নীল রায়। ডক্টর ভট্টাচার্যের মুখ থেকে নামটা শুনে রিমার মনে হলো, যেন তার মাথার ভেতর একটা বোমা ফেটে গেল, প্রতিটি স্নায়ু যেন বিস্ফোরিত হলো এক শীতল আঘাতে, তার কর্ণকুহরে বাজছিল এক অশুভ আর্তনাদ। এতক্ষণ ধরে যে অদৃশ্য সত্তা তাদের তাড়া করছিল, যার অস্তিত্ব কেবল অনুমান করা যাচ্ছিল, তার একটা নাম অবশেষে পাওয়া গেছে। কিন্তু এই নাম যেন নতুন করে আতঙ্ক নিয়ে এল, এক অজানা ভয়ের চোরাবালি যেন তাকে গ্রাস করতে চাইছে, তার প্রতিটি শ্বাসরুদ্ধ করে তুলছিল। নীল রায়, ঐন্দ্রিলার মামার ভাগ্নে, যিনি নিজেই এক মনোরোগীর পরিচর্যার অধীনে ছিলেন, যেন তার অসুস্থতার প্রতিটি খুঁটিনাটি তার নামেই জড়িয়ে আছে, এক অভিশপ্ত নিয়তির মতো। খুনী কি এতদিন তাদের চোখের সামনেই ছিল, তাদের প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছিল, তাদের প্রতিটি ভুল দেখে উপহাস করছিল?
“অভ্রজিৎ, দ্রুত! নীল রায়কে নিয়ে সব তথ্য চাই,” রিমার কণ্ঠস্বরে এক ধরণের অস্থিরতা, যেন সে প্রতিটি সেকেন্ডের জন্য যুদ্ধ করছে, প্রতিটি মুহূর্ত যেন এক অনন্তকাল, যা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। “তার জন্ম থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত প্রতিটি খুঁটিনাটি। তার পরিবার, তার বন্ধু-বান্ধব, তার পড়াশোনা, তার মানসিক চিকিৎসার রেকর্ড – কোনো কিছুই বাদ দেওয়া যাবে না। কোনো ক্ষুদ্রতম তথ্যও নয়, অভ্রজিৎ। কারণ সেখানেই হয়তো লুকিয়ে আছে আমাদের ফাঁসির দড়ি।”
অভ্রজিৎ দ্রুত কাজ শুরু করল। তার চোখের নিচেও কালির গভীর ছাপ, কিন্তু রিমার চোখে তার সেই উন্মাদনা সংক্রামিত হচ্ছিল, এক বিভীষিকাময় আলো তার চোখে জ্বলজ্বল করছিল। সাইবার ক্রাইম টিম নীল রায়ের ডিজিটাল পদচিহ্ন খুঁজতে শুরু করল, তার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল, পুরনো ফোন নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট – সব কিছু পরীক্ষা করা হচ্ছিল, যেন তারা এক অদৃশ্য সত্তার ডিজিটাল ভূত খুঁজছে, যা তাদের মস্তিস্কেও প্রবেশ করতে চাইছে। প্রথম তথ্যগুলো আসতে শুরু করল, যা তাদের স্তম্ভিত করে দিল। নীল রায় ছিলেন একজন মেধাবী ছাত্র, তার অ্যাকাডেমিক রেকর্ড ছিল উজ্জ্বল, কিন্তু তার কৈশোর থেকেই তার মধ্যে এক ধরণের অস্থিরতা দেখা গিয়েছিল। বিশেষভাবে নারীদের প্রতি তার এক ধরণের অস্বাভাবিক বিদ্বেষ ছিল, যা তার ডাক্তার মামা, অনিকেত রায়, বহু বছর ধরে চিকিৎসা করে আসছিলেন, কিন্তু সেই চিকিৎসা তাকে আরও বেশি উন্মাদ করে তুলেছিল বলে মনে হচ্ছিল, তাকে এক দানবে পরিণত করছিল। ড. অনিকেত রায় নিজেও কিছু অস্বাভাবিক পদ্ধতির জন্য পরিচিত ছিলেন, তার গবেষণার পদ্ধতিগুলো নিয়ে বহু প্রশ্ন ছিল, যা এবার নতুন করে সামনে এল, এক অন্ধকার অধ্যায় উন্মোচিত হলো।
নীল রায়ের অতীত উন্মোচিত হতে শুরু করল, আর সেই অতীত ছিল ভয়ংকর, এক কালো অতল গহ্বর যেখানে কেবল অন্ধকারই বাস করত, এবং যা থেকে পচনশীল আত্মার দুর্গন্ধ ভেসে আসছিল। শৈশবে সে তার মা দ্বারা পরিত্যক্ত হয়েছিল, একটি ছোট শিশুর অবুঝ মনে সেই ট্রমা গভীর ক্ষত তৈরি করেছিল, যা তার আত্মাকে চিরকালের জন্য বিষাক্ত করে দিয়েছিল, এক অদৃশ্য বিষের মতো সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। তার মধ্যে এক ধরণের তীব্র ‘Abandonment Issue’ দেখা গিয়েছিল, যা ধীরে ধীরে নারীদের প্রতি ঘৃণায় রূপান্তরিত হয়, এক বিকৃত, অপ্রতিরোধ্য আক্রোশে, যা প্রতিটি শিরায় প্রবাহিত হচ্ছিল। বিশেষ করে, যে নারীরা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, বা তার কল্পনার জগতে তাকে আঘাত করেছে, তাদের প্রতি তার বিদ্বেষ ছিল ভয়াবহ, যেন তারা সবাই তার মায়ের প্রতিচ্ছবি ছিল, যার প্রতি তার ঘৃণা ছিল অসীম। ড. অনিকেত রায় তার চিকিৎসা করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তার পদ্ধতিগুলো ছিল বেশ বিতর্কিত, অনেক সময় নিষ্ঠুরও বটে, যা তার রোগীর মানসিকতাকে আরও বেশি জটিল করে তুলছিল। তিনি তার রোগীদের ‘বিদ্বেষ’ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য এক ধরণের ‘Shock Therapy’ এবং ‘Behavioral Modification’ ব্যবহার করতেন, যা অনেক সময় রোগীদের আরও বেশি উত্তেজিত করে তুলত, তাদের ভেতরের অন্ধকারকে আরও উসকে দিত, যেন আগুন নিভাতে গিয়ে তা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল, এক ধ্বংসাত্মক শিখায় রূপান্তরিত করছিল।
ডায়েরির পাতাগুলো আর নীল রায়ের অতীত যেন এক ভয়ংকর ধাঁধা তৈরি করছিল, যার প্রতিটি সমাধান নতুন করে প্রশ্ন তৈরি করছিল, প্রতিটি উত্তর যেন এক নতুন রহস্যের জন্ম দিচ্ছিল। রিমার মনে হলো, এই ক্যাকটাসগুলো, এই রাসায়নিকগুলো, এই সবকিছুই ড. অনিকেত রায়ের গবেষণার অংশ ছিল, যা নীল রায় ব্যবহার করছিল তার বীভৎস অপরাধের জন্য, যেন তার মামার গবেষণা ছিল তার হাতের অস্ত্র, এক শয়তানি যন্ত্র। ঐন্দ্রিলা রায় সম্ভবত নীল রায়ের মনোরোগ সম্পর্কে জানত, এবং সম্ভবত তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করছিল, তার মামার চিকিৎসার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করছিল, যার জন্য তাকে মূল্য দিতে হলো, এক ভয়ংকর মূল্য, তার নিজেরই জীবন। কিন্তু বাকি শিকারদের সাথে তার কী সম্পর্ক? রুমা সেন, সায়নী দেব, অনামিকা বসু – তাদের সাথে নীল রায়ের কোনো প্রত্যক্ষ সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না, যেন তাদের জীবনগুলো এক অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা ছিল, যার শেষ প্রান্তে নীল রায়ই ছিল, আর সেই সুতোটি ছিল রক্তে রঞ্জিত। রিমার মনে হলো, খুনীর প্রতিটি শিকারের পেছনে এক গভীর ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য আছে, যা এখনও তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। খুনী হয়তো এমন নারীদের টার্গেট করছে যারা তাকে কোনো না কোনোভাবে আঘাত করেছে বা তার পুরনো ক্ষতকে উসকে দিয়েছে, অথবা যারা ছিল তার কল্পনার কোনো এক অংশের প্রতিচ্ছবি, এক বিকৃত শিল্পকর্মের উপাদান, এক নিথর মডেল।
নীল রায়ের এই অন্ধকার অতীত রিমার নিজের মানসিক ভারসাম্যকে আরও নড়বড়ে করে তুলল। তার মনে হচ্ছিল, খুনী যেন তার আত্মার গভীরে প্রবেশ করেছে, তার সব দুর্বলতা সে জানে, তার সবচেয়ে গোপন ভয়গুলোও সে জানে, যা তাকে আরও বেশি উন্মাদ করে তুলছিল, তার প্রতিটি স্নায়ুকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছিল। খুনীর সেই ফোন কল, তার বিদ্রূপাত্মক হাসি – সবকিছুই তার স্মৃতিতে জীবন্ত হয়ে উঠছিল, প্রতিটি শব্দ যেন তার কানের ভেতরে প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল, তাকে ঘুমাতে দিচ্ছিল না, তাকে এক মুহূর্তের জন্যও শান্তি দিচ্ছিল না। রাতে ঘুমিয়েও সে শান্তি পেত না। পুরনো দুঃস্বপ্নগুলো আরও বেশি ভয়ংকর হয়ে দেখা দিত, যেখানে সে নিজেই খুনীর শিকার হচ্ছে, তার হাতে অসহায়ভাবে ধরা পড়ছে, তার শেষ নিঃশ্বাস যেন খুনীর হাতের মুঠোয় আটকে আছে, আর তার শরীর হিম হয়ে যাচ্ছে। তার মনে হচ্ছিল, খুনী যেন তার প্রতিটি পদক্ষেপ অনুসরণ করছে, তার মনের প্রতিটি চিন্তাও সে পড়তে পারছে, যেন খুনী তার মস্তিষ্কের ভেতরেই বাস করছে, তাকে নিজেরই পুতুল বানিয়ে ফেলেছে। রিমার শরীর কাঁপছিল, তার ত্বক শীতল হয়ে যাচ্ছিল, যেন নীল রায়ের বীভৎসতা তাকেও স্পর্শ করছে, তার আত্মাকেও কলুষিত করছে, তাকে এক অন্ধকার অতলে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। তার সহকর্মীরা তার দিকে আরও বেশি সন্দেহ আর উদ্বেগ নিয়ে তাকাত। তাদের ফিসফিসানি রিমার কানে বিদ্রূপের মতো বাজত। ডিআইজি তাকে বিশ্রাম নিতে বলছিলেন, কিন্তু রিমা জানত, সে বিশ্রাম নিলে খুনী আরও এগিয়ে যাবে, আর সে তা হতে দিতে পারে না, কারণ এই লড়াই তার নিজের অস্তিত্বের।
নীল রায়ের পুরনো ঠিকানাগুলো যাচাই করতে গিয়ে অভ্রজিৎ একটি অদ্ভুত জিনিস খুঁজে পেল। নীল রায়ের একটি পুরনো পারিবারিক সম্পত্তি ছিল শহর থেকে কিছুটা দূরে, একটি নির্জন গ্রামে। সম্পত্তিটি বহু বছর ধরে অব্যবহৃত ছিল, যেন একটি পরিত্যক্ত কবরস্থানের মতো, যেখানে কেবল মৃত আত্মারা বিচরণ করে। সেই গ্রামে ছিল ড. অনিকেত রায়ের একটি পুরোনো ফার্মহাউস, যেখানে তিনি তার কিছু গোপন গবেষণা চালাতেন, যে গবেষণাগুলো ছিল ভয়ংকর এবং অমানবিক, প্রকৃতির বিরুদ্ধে এক বিদ্রোহ। গ্রামের লোকেদের কাছে সেই ফার্মহাউসটি ছিল একটি ভুতুড়ে স্থান, যেখানে কেউ যেত না, সন্ধ্যা নামলেই গ্রামের পাশ দিয়েও কেউ যেত না, কেবল মৃত্যুর শীতল ছায়া সেখানে নৃত্য করত, তাদের মনে এক ধরণের অশুভ ভয় কাজ করত।
রিমার মনে হলো, এটাই তাদের আসল লক্ষ্য। সেখানে নীল রায় লুকিয়ে আছে, অথবা তার আরও কিছু বীভৎস রহস্য সেখানে লুকিয়ে আছে, তার নতুন শিকারের জন্য একটি অন্ধকার মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে প্রতিটি রক্তবিন্দু দিয়ে এক নতুন চিত্র আঁকা হবে। রিমা একটি বিশাল দল প্রস্তুত করল। এইবার তারা কোনো ভুল করতে চায় না, কারণ এটি তাদের শেষ সুযোগ হতে পারে, তাদের শেষ পরীক্ষা। অভিযান শুরু হলো। গ্রামের দিকে যাওয়ার পথেই রিমার ভেতরে এক ধরণের চাপা উত্তেজনা আর আতঙ্ক কাজ করছিল। এটিই কি সেই ফাঁদ, যেখানে খুনী তাদের জন্য অপেক্ষা করছে, তাদের জীবন নিয়ে একটি নতুন খেলা শুরু করতে চাইছে, এক ভয়ংকর চাল? পথের প্রতিটি বাঁক, প্রতিটি ছায়া যেন এক অজানা বিপদ ঘোষণা করছিল, প্রতিটি গাছ যেন তাদের দিকে ভুতুড়ে দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল।
টিম যখন ফার্মহাউসে প্রবেশ করল, তখন চারপাশে এক অশুভ নিস্তব্ধতা, যা তাদের শ্বাসরোধ করে দিচ্ছিল। পুরনো, জীর্ণ বাড়িটি যেন তাদের গ্রাস করতে চাইছে, প্রতিটি দেয়াল যেন ফিসফিস করে কিছু বলছিল, যা তারা শুনতে পাচ্ছিল না, কিন্তু তাদের আত্মাকে বিদ্ধ করছিল। প্রতিটি কক্ষ পরীক্ষা করা হলো। এটিও খালি, কিন্তু এখানেও ছিল সেই অদ্ভুত রাসায়নিকের গন্ধ আর ক্যাকটাসের শুকনো পাতা, যা তাদের প্রতিটি নিঃশ্বাসে বিষের মতো মিশে যাচ্ছিল, তাদের ফুসফুসকে জ্বালাতন করছিল। নীল রায় এখানেও নেই। রিমার বুকটা ধক করে উঠল, যেন তার হৃদপিণ্ড থেমে গিয়েছিল। খুনী আবারও পালিয়ে গেছে, যেন সে কোনো ভৌতিক সত্তা, যাকে ধরা অসম্ভব, এক অদৃশ্য পিশাচ।
কিন্তু ড্রইংরুমের মাঝখানে একটি টেবিলের উপর রাখা ছিল একটি ছোট, হাতে লেখা কার্ড। কার্ডের উপর একটি ক্যাকটাসের ছবি, তার নিচে একটি নারীর মুখ আঁকা, যার চোখে ছিল গভীর ভয়, আর তার মুখে ছিল এক নীরব আর্তনাদ, যা রিমার কানের ভেতর তীব্রভাবে বাজছিল। আর ছবির নিচে লেখা: “ইন্সপেক্টর সেনগুপ্ত, পরেরবার আরও দ্রুত হোন। সময় ফুরিয়ে আসছে। আপনার জন্য অপেক্ষা করছে… তৃষা, আপনার একান্ত পরিচিত এক মুখ, যে আপনার জীবনেরই এক অংশ।”
তৃষা! রিমার শ্বাস আটকে গেল, তার চারপাশে সবকিছু যেন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল, বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড যেন এক মুহূর্তের জন্য থেমে গিয়েছিল। এটা কে? নতুন শিকার? রিমার হাতে ঘামের ধারা বইছিল, তার শরীর কাঁপছিল, এক তীব্র ঠান্ডা তার মেরুদণ্ড দিয়ে বয়ে গেল। খুনী শুধু তাদের অনুসরণই করছিল না, সে যেন তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সম্পর্কে অবগত ছিল, এবং এখন তাদের সাথে এই খেলাটা আরও বেশি ব্যক্তিগত করে তুলছিল, যেন সে রিমার ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিও আগ্রহী ছিল, তার গোপনতম সম্পর্কগুলোও সে জানত। রিমা বুঝতে পারছিল, নীল রায় কেবল একজন হত্যাকারী নয়, সে একজন চতুর, মানসিক বিকারগ্রস্ত শিল্পী, যার একমাত্র লক্ষ্য হলো রিমার আত্মাকে ভেঙে দেওয়া, তাকে ভেতর থেকে শেষ করে দেওয়া, তাকে নিজেরই হাতে তার প্রিয়জনের বলিদান দেখতে বাধ্য করা। তৃষা কে? তার মনে সেই প্রশ্নটা বারবার ঘুরতে লাগল, কিন্তু উত্তর তার জানা ছিল না, এক অজানা ভয় তাকে গ্রাস করছিল। রিমা জানে, সময় খুব কম। তাকে দ্রুত তৃষাকে খুঁজে বের করতে হবে, তার আগেই নীল রায় তার বীভৎস খেলা শেষ করে, এবং এই খেলা শেষ হওয়ার আগে যেন তৃষার নিথর দেহও তার শিল্পকর্মের অংশ না হয়ে যায়, এক বীভৎস স্মারক হিসেবে না থাকে।
ক্রমশ……
Comments
Discussion
No commentsPlease sign in to join the discussion