Episode 81470 words0 views

মৌন উপত্যকা : অষ্টম অধ্যায়

প্রতিশোধের আগুন সিদ্ধার্থ বর্মার পরিচয় উন্মোচিত হওয়ার পর অরুণিমা এবং সুব্রত রায়ের তদন্ত এক নতুন মাত্রা পেল। তারা এখন জানতেন, কাকে খুঁজছেন এবং কেন খুঁজছেন। ড. প্রবীর মিত্রের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ এবং শম্ভু মাঝির দেওয়া তথ্য তাদের কাছে একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরেছিল – এটি কোনো সাধারণ অপহরণ নয়, বরং সুপরিকল্পিত এবং দীর্ঘদিনের লালিত প্রতিশোধের এক ভয়ংকর খেলা। অরুণিমা থানায় ফিরে সুব্রত রায়কে নিয়ে একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরি করলেন। তাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল সিদ্ধার্থের বর্তমান অবস্থান খুঁজে বের করা। যেহেতু সে এক বছর আগে কলকাতা ছেড়ে দার্জিলিংয়ে ফিরে এসেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে, তাই দার্জিলিং এবং তার আশেপাশে তার সম্ভাব্য আশ্রয়স্থলগুলো খুঁজে বের করা জরুরি ছিল। “ইন্সপেক্টর, সিদ্ধার্থের সম্পর্কে আমরা যা জেনেছি, তা থেকে একটি প্রোফাইল তৈরি করুন,” অরুণিমা নির্দেশ দিলেন। “মেধাবী, প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ, একা থাকতে পছন্দ করে, এবং প্রতিশোধের তীব্র আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। এই ধরনের একজন ব্যক্তি কোথায় লুকিয়ে থাকতে পারে? এমন কোনো নির্জন জায়গা, যেখানে সে তার যন্ত্রাংশ নিয়ে কাজ করতে পারে, এবং যেখানে কেউ তাকে সন্দেহ করবে না।” সুব্রত রায় বললেন, “ম্যাডাম, দার্জিলিংয়ে অনেক পুরনো, পরিত্যক্ত বাড়ি আছে, যা চা বাগানের মালিকদের ছিল বা ব্রিটিশ আমলের কটেজ। সেগুলোর কিছু হয়তো এখনও অব্যবহৃত পড়ে আছে। এছাড়া, চা বাগানের ভেতরেও কিছু পুরনো বাংলো বা শেড আছে, যা শ্রমিকরা ব্যবহার করত, কিন্তু এখন পরিত্যক্ত।” “ঠিক ধরেছেন,” অরুণিমা বললেন। “আমাদের টিমকে এই ধরনের জায়গাগুলো খুঁজে বের করতে বলুন। প্রতিটি পরিত্যক্ত বাড়ি, কটেজ, এবং চা বাগানের পরিত্যক্ত বাংলো – সব খতিয়ে দেখতে হবে। বিশেষ করে, শান্তি কুঞ্জ চা বাগানের আশেপাশে নজরদারি বাড়াতে হবে। হয়তো সে তার অতীতের সাথে সম্পর্কিত কোনো জায়গায় লুকিয়ে আছে।” পুলিশের টিম দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন নির্জন এলাকায় তল্লাশি শুরু করল। একই সাথে, অরুণিমা এবং সুব্রত রায় সিদ্ধার্থের পারিবারিক ইতিহাস আরও গভীরে খতিয়ে দেখতে লাগলেন। সুরেশ বর্মার ব্যবসায়িক লেনদেন, তার সামাজিক সম্পর্ক, এবং তার ভাগ্নে সিদ্ধার্থের সাথে তার সম্পর্ক – সব কিছু বিশ্লেষণ করা হচ্ছিল। তারা জানতে পারলেন, সুরেশ বর্মা ধর্মঘটের পর দার্জিলিং ছেড়ে শিলিগুড়িতে চলে গেলেও, তার কিছু ব্যবসায়িক স্বার্থ দার্জিলিংয়ে রয়ে গিয়েছিল। তিনি মাঝে মাঝে দার্জিলিংয়ে আসতেন, কিন্তু খুব গোপনে। এই তথ্যগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছিল যে সিদ্ধার্থ তার মামার পুরনো নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে। ড. মিত্রের সাথে অরুণিমার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। ড. মিত্র সিদ্ধার্থের মনস্তত্ত্ব নিয়ে আরও গভীরে বিশ্লেষণ করতে লাগলেন। “ডিটেক্টিভ সেনগুপ্ত, এই ধরনের প্রতিশোধপ্রবণ ব্যক্তিরা তাদের শিকারকে শুধু শারীরিক ক্ষতি করে না, তারা তাদের মানসিক যন্ত্রণা দিতে চায়। তারা চায় তাদের শিকাররা তাদের অপরাধের কারণ বুঝতে পারুক। সিদ্ধার্থ হয়তো প্রিয়াঙ্কা এবং রাহুলকে এমন কোনো জায়গায় আটকে রেখেছে, যেখানে তারা তাদের পরিবারের অতীতের পাপ সম্পর্কে জানতে পারছে, অথবা যেখানে তারা নিজেদের অসহায়ত্ব অনুভব করছে। সে তাদের উপর ঠিক তেমনই মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছে, যেমনটা তার পরিবার এবং অন্যান্য শ্রমিকরা সেই ধর্মঘটের সময় ভোগ করেছিল।” অরুণিমা ড. মিত্রের কথা শুনে ভাবলেন। “তার মানে, সিদ্ধার্থ হয়তো তাদের কোনো বার্তা দিতে চাইছে। কিন্তু কী বার্তা?” “হয়তো সে চায় তারা তাদের পরিবারের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হোক,” ড. মিত্র বললেন। “অথবা সে চায় তারা সেই একই যন্ত্রণা ভোগ করুক, যা তার পরিবার ভোগ করেছিল। এই ধরনের অপরাধীরা প্রায়শই তাদের শিকারদের সাথে এক ধরণের মানসিক খেলা খেলে। তারা নিজেদেরকে এক ধরণের ‘বিচারক’ মনে করে, যারা সমাজের অন্যায়ের বিচার করছে।” এই আলোচনার মধ্যেই সুব্রত রায়ের টিম থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর এলো। তারা শান্তি কুঞ্জ চা বাগানের ঠিক পেছনের একটি নির্জন পাহাড়ের ঢালে একটি পুরনো, পরিত্যক্ত বাংলো খুঁজে পেয়েছে। বাংলোটি বহু বছর ধরে অব্যবহৃত ছিল, চারপাশে ঘন ঝোপঝাড় এবং লতাপাতায় ঢাকা, যা এটিকে বাইরে থেকে প্রায় অদৃশ্য করে তুলেছিল। বাংলোটির দেওয়ালগুলো শ্যাওলা ধরা, জানালাগুলো ভাঙা, যেন বহু বছর ধরে এখানে কেউ পা রাখেনি। কিন্তু সম্প্রতি তার আশেপাশে কিছু নতুন পায়ের ছাপ, গাড়ির টায়ারের চিহ্ন, এবং কিছু যন্ত্রাংশের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বাংলোটির আশেপাশে ঘন কুয়াশা এবং গাছপালা থাকায় এটি সহজেই নজরে আসত না, যা অপরাধীর জন্য একটি আদর্শ আস্তানা ছিল। এমনকি বাংলোটির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট পাহাড়ি ঝর্ণার শব্দও তার ভেতরে চলা যন্ত্রের শব্দকে ঢেকে দিচ্ছিল। “ম্যাডাম, বাংলোটি বাইরে থেকে জীর্ণ দেখালেও, ভেতরে কিছু আধুনিক যন্ত্রাংশ এবং তারের সংযোগ পাওয়া গেছে,” সুব্রত রায় উত্তেজিত কণ্ঠে বললেন। তার কণ্ঠস্বরে এক ধরণের নিশ্চিতি। “মনে হচ্ছে, কেউ এখানে সম্প্রতি কাজ করেছে। বিদ্যুতের তার নতুন করে টানা হয়েছে, আর একটি ছোট জেনারেটরের শব্দও শোনা যাচ্ছে। ভেতরে একটি অদ্ভুত রাসায়নিক গন্ধও পাওয়া যাচ্ছে, যা কোনো ল্যাবরেটরির মতো।” অরুণিমার মন দ্রুত সঙ্কেত দিল। “এটাই সিদ্ধার্থের আস্তানা হতে পারে, ইন্সপেক্টর। টাইটানিয়াম-নিকেল সংকর ধাতু এবং সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশ – সব মিলে যাচ্ছে। এই বাংলোটি হয়তো তার শৈশবের কোনো স্মৃতি বহন করে, যা তার প্রতিশোধের পরিকল্পনার অংশ। হয়তো এই বাংলোতেই সে তার পরিবারের দুর্দশা দেখেছিল।” তারা দ্রুত বাংলোটির দিকে রওনা হলেন। পথে ড. মিত্রকেও ফোন করে খবর দেওয়া হলো, যদিও তার সরাসরি ঘটনাস্থলে যাওয়া নিষেধ ছিল। পুলিশ টিম বাংলোটি ঘিরে ফেলল, প্রতিটি সম্ভাব্য পালানোর পথ বন্ধ করে দেওয়া হলো। চারদিক থেকে বাংলোটিকে ঘিরে ফেলা হলো, যাতে সিদ্ধার্থ কোনোভাবেই পালাতে না পারে। অরুণিমা এবং সুব্রত রায় সাবধানে বাংলোটির ভেতরে প্রবেশ করলেন। তাদের হাতে অস্ত্র, চোখে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি, প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল হিসেবী। বাংলোটির ভেতরে প্রবেশ করতেই এক ধরণের স্যাঁতসেঁতে গন্ধ নাকে এলো, পুরনো কাঠ এবং ধুলোর মিশ্রিত গন্ধ, তার সাথে মিশে ছিল কিছু অদ্ভুত রাসায়নিকের গন্ধ। পুরনো আসবাবপত্র, ধুলোর আস্তরণ, আর মাকড়সার জাল – সবকিছুই পরিত্যক্ততার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু একটি ঘরের দিকে যেতেই তারা একটি মৃদু শব্দ শুনতে পেলেন, যেন কোনো যন্ত্র চলছে, একটি নিচু ভনভন শব্দ, যা ঘরের নীরবতাকে ভেঙে দিচ্ছিল। তারা সাবধানে সেই ঘরের দিকে এগিয়ে গেলেন। দরজাটা সামান্য খোলা ছিল। অরুণিমা এবং সুব্রত রায় ভেতরে উঁকি দিলেন। ঘরের ভেতরে একটি ছোট ল্যাবরেটরির মতো সেটআপ করা হয়েছে। একটি টেবিলে বিভিন্ন ধরনের সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশ, তার, সার্কিট বোর্ড, এবং কিছু রাসায়নিক পদার্থ রাখা আছে। দেয়ালের একপাশে একটি বড় ম্যাপ ঝুলছে, যেখানে দার্জিলিং শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে, বিশেষ করে মুখার্জী এবং বর্মা পরিবারের বাড়িগুলো, এবং তাদের বর্তমান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো। ম্যাপের উপর লাল কালিতে কিছু চিহ্ন আঁকা ছিল, যা তার পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিচ্ছিল। ঘরের এক কোণে একটি ছোট, শক্তিশালী জেনারেটর চলছে, যা মৃদু শব্দ করছিল এবং ঘরের ভেতরে একটি অদ্ভুত, শীতল আলো তৈরি করছিল। আর ঘরের মাঝখানে, একটি বড় মনিটরের সামনে একজন লোক বসে আছে, তার পিঠ তাদের দিকে। তার হাতে একটি ছোট যন্ত্র, যা দিয়ে সে কিছু সূক্ষ্ম কাজ করছিল, যেন কোনো জটিল ঘড়ির যন্ত্রাংশ তৈরি করছে, অথবা কোনো ক্ষুদ্র বোমা বানাচ্ছে। তার গলায় একটি ছোট, চকচকে লকেট ঝুলছে, যা থেকে একটি ‘S’ অক্ষর স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তার চুলগুলো এলোমেলো, এবং তার কাঁধে একটি পুরনো কম্বল জড়ানো। তার বসার ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছিল, সে তার কাজে এতটাই মগ্ন যে বাইরের জগতের কোনো অস্তিত্ব তার কাছে নেই। “সিদ্ধার্থ বর্মা,” অরুণিমা ফিসফিস করে বললেন, তার কণ্ঠস্বরে এক ধরণের নিশ্চিতি এবং উত্তেজনা। তারা সাবধানে ভেতরে ঢুকলেন। সিদ্ধার্থ তাদের উপস্থিতি টের পায়নি। সে তার কাজে মগ্ন ছিল, তার সমস্ত মনোযোগ ছিল তার হাতের যন্ত্রে। অরুণিমা তার দিকে এগিয়ে গেলেন, তার পদক্ষেপ ছিল নিঃশব্দ এবং সতর্ক। “সিদ্ধার্থ বর্মা, আমরা পুলিশ,” অরুণিমা দৃঢ় কণ্ঠে বললেন। তার কণ্ঠস্বর ঘরের নীরবতা ভেঙে দিল, এবং জেনারেটরের মৃদু শব্দকেও ছাপিয়ে গেল। সিদ্ধার্থ চমকে উঠল। সে দ্রুত তার হাতের যন্ত্রটি ফেলে দিল, যন্ত্রটি মেঝেতে পড়ে একটি তীক্ষ্ণ শব্দ করল, যেন কোনো কাঁচের জিনিস ভেঙে গেল। সে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াল। তার চোখে ছিল এক ধরণের তীব্র ঘৃণা এবং একরাশ প্রতিশোধের আগুন। তার চেহারা দেখে মনে হলো, সে গত বিশ বছর ধরে এই মুহূর্তটির জন্যই অপেক্ষা করছিল। তার চোখ দুটি লাল ছিল, যেন নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে, আর তার মুখে এক ধরণের বিকৃত হাসি ফুটে উঠল, যা ভয়ের চেয়েও বেশি ছিল এক ধরণের উন্মাদনা, এক ধরণের শীতল উন্মাদনা। তার হাসি দেখে অরুণিমার মনে হলো, এই মানুষটি তার প্রতিশোধের জন্য যেকোনো কিছু করতে পারে। “অবশেষে আপনারা এলেন, ডিটেক্টিভ সেনগুপ্ত,” সিদ্ধার্থ শান্ত অথচ তীব্র কণ্ঠে বলল। তার কণ্ঠস্বরে কোনো ভয় ছিল না, বরং এক ধরণের শীতল আত্মবিশ্বাস ছিল, যা একজন ঠান্ডা মাথার অপরাধীর বৈশিষ্ট্য। “আমি জানতাম আপনারা আসবেন। কিন্তু আপনারা অনেক দেরি করে ফেলেছেন। আমার কাজ প্রায় শেষ।” অরুণিমা দেখলেন, ঘরের এক কোণে একটি ছোট, অস্থায়ী কক্ষ তৈরি করা হয়েছে, যার লোহার দরজার ফাঁক দিয়ে প্রিয়াঙ্কা এবং রাহুলকে দেখা যাচ্ছে। তারা একটি পুরনো মাদুরের উপর বসে আছে, দুর্বল এবং ভীতসন্ত্রস্ত দেখাচ্ছিল, কিন্তু অক্ষত ছিল, শুধু ধোঁয়ার কারণে কিছুটা কাশি হচ্ছিল। তাদের চোখে ভয় এবং বিভ্রান্তি স্পষ্ট। তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে ছিল, যেন তারা বুঝতে পারছিল না কী ঘটছে, এবং তাদের উদ্ধারকারীরা কারা। তাদের মুখ ফ্যাকাশে, আর চোখগুলো কোঠরগত। “তাদের কোনো ক্ষতি করবেন না, সিদ্ধার্থ,” অরুণিমা বললেন, তার হাতে অস্ত্র প্রস্তুত। সুব্রত রায়ও তার পাশে পজিশন নিলেন, তার অস্ত্র সিদ্ধার্থের দিকে তাক করা। “ক্ষতি? আমি তাদের কোনো ক্ষতি করিনি, ডিটেক্টিভ সেনগুপ্ত,” সিদ্ধার্থ বিদ্রূপের হাসি হাসল, তার চোখ দুটি জ্বলজ্বল করছিল, যেন তাতে এক অশুভ আলো। “আমি শুধু তাদের তাদের পরিবারের কৃতকর্মের ফল ভোগ করাচ্ছি। তাদের বাবা-মায়ের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করাচ্ছি। তারা এখন বুঝতে পারছে, অসহায়ত্ব কাকে বলে। তারা এখন বুঝতে পারছে, যখন আপনার সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়, তখন কেমন লাগে। তারা এখন সেই যন্ত্রণা অনুভব করছে, যা আমার পরিবার অনুভব করেছিল।” তার কণ্ঠস্বরে এক ধরণের উন্মাদনা ছিল, যা তার দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। প্রতিশোধের আগুন তার প্রতিটি শিরায় শিরায় জ্বলছিল, যা তার চোখের দৃষ্টিতে স্পষ্ট। অরুণিমা বুঝতে পারলেন, এই মানুষটি তার অতীতের যন্ত্রণায় এতটাই ডুবে আছে যে তাকে বোঝানো কঠিন হবে। সে তার প্রতিশোধকে একটি পবিত্র কর্তব্য মনে করছে, যা তাকে তার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য দিয়েছে। মৌন উপত্যকার নীরবতা ভেঙে এবার প্রতিশোধের আগুন জ্বলে উঠেছে, যা এই শান্ত পাহাড়কে এক ভয়ংকর যুদ্ধের ময়দানে পরিণত করবে। অরুণিমা জানতেন, এই লড়াই শুধু সিদ্ধার্থকে ধরার নয়, তার উন্মাদনাকে থামানোরও। (চলবে)  

Share this story

Comments

Discussion

No comments

Please sign in to join the discussion