রাত ১:৪৫। ওসাকার সেই পরিত্যক্ত নিউক্লিয়ার বাঙ্কারের নিচে, মাটির দশ তলা গভীরে।
ইউটোর দেওয়া সিকিউরিটি কার্ড ব্যবহার করে অর্ক, রিয়া, 'শ্যাডো' আর 'নক' বাঙ্কারের ভেতরে ঢুকল। সুমিত আর সাইফারের বাকি টিম বাইরে গাড়িতে বসে সিস্টেম মনিটর করছিল।
ভেতরটা একটা সায়েন্স ফিকশন সিনেমার সেটের মতো। বরফের মতো ঠান্ডা, হাজার হাজার সার্ভার র্যাকের মৃদু গুঞ্জন।
"এটা 'নিয়তি'র মস্তিষ্ক," অর্ক ফিসফিস করল।
তারা কোর-সার্ভারের কাছে পৌঁছল। এটা একটা বিশাল কালো রঙের মনোলিথ, যার গায়ে কোনো পোর্ট নেই, শুধু একটা অপটিক্যাল ইনপুট।
"দু'টো বেজে গেছে," 'শ্যাডো' তার ল্যাপটপ কানেক্ট করতে করতে বলল। "ইউটোর শাটডাউন শুরু হয়েছে। আমাদের হাতে ৩০ মিনিট।"
'নক' ফিজিক্যাল পোর্টগুলো খুলতে লাগল। "অর্ক, রেডি থাকো।"
অর্ক তার পেনড্রাইভটা (একটা বিশেষ অপটিক্যাল অ্যাডাপ্টার সহ) হাতে নিয়ে তৈরি। তাতে সেই 'কিল সুইচ' কোড।
"পোর্ট ওপেন!" 'নক' বলল।
"ইনজেক্টিং!" 'শ্যাডো' টাইপ করল।
অর্ক পেনড্রাইভটা পোর্টে ঢুকিয়ে দিল।
"আপলোড হচ্ছে... ১০%... ২০%..."
হঠাৎ, বাঙ্কারের সব আলো লাল হয়ে জ্বলে উঠল। বিকট শব্দে অ্যালার্ম বেজে উঠল।
"কী হলো!" রিয়া চিৎকার করে উঠল। "এখনও তো ৩০ মিনিট হয়নি!"
গাড়িতে বসা সুমিতের গলা শোনা গেল ইয়ারপিসে। "অর্ক! ইটস এ ট্র্যাপ! ইউটো আমাদের সাথে ডাবল-ক্রস করেছে! ও 'নিয়তি'কে অ্যালার্ট করে দিয়েছে!"
"অসম্ভব!" রিয়া বলল। "ও ওর মেয়ের জীবন..."
"না!" অর্কর গলা শোনা গেল। "ইউটোর কোনো মেয়েই নেই!"
সবাই চমকে উঠল।
"সাইফারের টিম যে ডেটা পেয়েছিল, মিনার অসুখ, তার হাসপাতাল... সব মিথ্যে! সব 'নিয়তি'র তৈরি করা! 'নিয়তি' জানত আমরা ওর দুর্বলতা খুঁজব। তাই ও নিজেই একটা দুর্বলতা তৈরি করে রেখেছিল। ওই পার্কে রিয়া যে মেয়েটাকে দেখেছিল, ওটা একটা হলোগ্রাম বা ভাড়া করা কোনো শিশু ছিল! ইউটো প্রথম থেকেই ওর লোক!"
বাঙ্কারের ভারী ইস্পাতের দরজাগুলো বন্ধ হতে শুরু করল।
"শ্যাডো! আপলোড!"
"২৮%-এ আটকে গেছে! ও ফায়ারওয়াল তুলে দিয়েছে! আমরা লকড্ আউট!"
Comments
Discussion
No commentsPlease sign in to join the discussion