Episode 31544 words0 views

রায়চৌধুরী ভিলার অভিশাপ : তৃতীয় পর্ব

আত্মার উপস্থিতি ডায়েরি পড়ার পর থেকেই জমিদার বাড়িতে অলৌকিক ঘটনাগুলো আরও স্পষ্ট এবং তীব্র হতে শুরু করল, যেন ডায়েরির প্রতিটি শব্দ অশরীরী শক্তিকে আরও বেশি সক্রিয় করে তুলছিল, আর তাদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছিল। রাতের বেলা তাদের কক্ষে অদ্ভুত ছায়ামূর্তি দেখা যাচ্ছিল। প্রথমে সেগুলো অস্পষ্ট ছিল, যেন ধোঁয়ার মতো, কিন্তু ধীরে ধীরে তারা আরও স্পষ্ট হতে লাগল। কখনও মনে হচ্ছিল একজন বয়স্ক পুরুষ তাদের দিকে তাকিয়ে আছে, তার চোখ থেকে এক তীব্র ঘৃণা ঠিকরে বেরোচ্ছে; কখনও একজন মহিলা তাদের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, তার শাড়ির আঁচল বাতাসে উড়ছে, আর তার মুখ থেকে এক অস্পষ্ট কান্নার শব্দ ভেসে আসছে, যা তাদের হৃদপিণ্ডকে বিচলিত করছিল; আবার কখনও ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ছায়া দৌড়ে বেড়াচ্ছে, তাদের অস্পষ্ট হাসির শব্দ শোনা যাচ্ছিল, যা শুনে তাদের গা ছমছম করে উঠছিল। এই ছায়ামূর্তিগুলো এতটাই বাস্তব মনে হচ্ছিল যে তাদের গা ছমছম করে উঠছিল, আর তাদের হৃদপিণ্ড দ্রুত স্পন্দিত হচ্ছিল, যেন তারা এক অদৃশ্য জগতের অংশ হয়ে গেছে। এক রাতে, যখন তারা ঘুমিয়ে ছিল, সোহিনী হঠাৎ জেগে উঠল। তার মনে হলো কেউ তার কানের কাছে ফিসফিস করে কিছু বলছে, যেন একটি পুরোনো গান গাইছে, যা তার মনকে বিচলিত করছিল, আর তার মস্তিষ্কে এক অদ্ভুত চাপ অনুভব করছিল। সে চোখ খুলেই দেখল, কক্ষের মাঝখানে একটি অস্পষ্ট সাদা ছায়া দাঁড়িয়ে আছে। ছায়াটি ধীরে ধীরে তার দিকে এগিয়ে এল, আর সোহিনী অনুভব করল এক তীব্র ঠান্ডা বাতাস তার শরীর ছুঁয়ে যাচ্ছে, যেন বরফ তার রক্তে মিশে যাচ্ছে, আর তার শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। ছায়াটি তার কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলল, “সাবধান… লোভ… ধ্বংস… মুক্তি… মুক্তি দাও… আমাদের মুক্তি দাও… এই যন্ত্রণা আর সহ্য হচ্ছে না… তুমিও মরবে!” সোহিনী ভয়ে চিৎকার করে উঠল। তার চিৎকারে আকাশ, রনি এবং মিতু জেগে উঠল। তারা টর্চ জ্বেলে চারপাশে আলো ফেলল, কিন্তু ছায়াটি ততক্ষণে অদৃশ্য হয়ে গেছে, শুধু তার ফিসফিসানির প্রতিধ্বনি যেন বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিল, যা তাদের মনে এক গভীর আতঙ্ক তৈরি করছিল। “কী হয়েছে সোহিনী?” আকাশ উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞাসা করল, তার চোখে গভীর উদ্বেগ, আর তার গলা কাঁপছিল। সোহিনী হাঁপাচ্ছিল, তার শরীর কাঁপছিল, তার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল। “আমি… আমি একটা ছায়া দেখেছি… সে আমাকে কিছু বলছিল… লোভ… ধ্বংস… মুক্তি… তারা মুক্তি চাইছে… তাদের অনেক যন্ত্রণা হচ্ছে… আর সে আমাকে হুমকি দিচ্ছিল!” রনি বলল, “তুমি হয়তো স্বপ্ন দেখছো। এই পুরোনো বাড়িতে এসব স্বপ্ন দেখা স্বাভাবিক। তোমার মন হয়তো ডায়েরির কথাগুলো নিয়ে ভাবছে।” সে সোহিনীর কথাকে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল, কিন্তু তার নিজের মুখেও এক ধরনের ফ্যাকাশে ভাব ছিল, যা তার ভয়কে প্রকাশ করছিল। কিন্তু মিতু সোহিনীর দিকে তাকিয়ে ছিল। তার চোখ দেখে মনে হচ্ছিল সেও ভয় পেয়েছে। “আমিও যেন কিছু অনুভব করছিলাম,” মিতু ফিসফিস করে বলল। “একটা ঠান্ডা… আর কেমন যেন একটা চাপ অনুভব করছিলাম, যেন কেউ আমার উপর বসে আছে, আমার শ্বাস বন্ধ করে দিচ্ছে।” পরের দিন সকালে, তারা বাড়ির বিভিন্ন অংশে আরও অদ্ভুত ঘটনার সম্মুখীন হলো। বন্ধ দরজা-জানালা হঠাৎ করে খুলে যাচ্ছিল, যেন অদৃশ্য কোনো শক্তি সেগুলোকে ঠেলে দিচ্ছে, আর তাদের শব্দে পুরো বাড়িটি কেঁপে উঠছিল। তাদের কক্ষের আসবাবপত্র, যা তারা আগের রাতে গুছিয়ে রেখেছিল, সেগুলো এলোমেলোভাবে পড়ে ছিল, যেন কেউ তাদের নিয়ে খেলা করছিল। একটি পুরোনো কাঁচের ফুলদানি, যা একটি টেবিলের উপর রাখা ছিল, হঠাৎ করে মেঝেতে পড়ে ভেঙে গেল, তার শব্দে পুরো বাড়িটি যেন কেঁপে উঠল, আর তাদের হৃদপিণ্ড দ্রুত স্পন্দিত হচ্ছিল। কিন্তু আশেপাশে কেউ ছিল না, শুধু ভেঙে যাওয়া কাঁচের টুকরোগুলো মেঝেতে ছিল, যা দেখে মনে হচ্ছিল যেন কোনো অদৃশ্য হাত তাদের ছুঁয়ে গেছে। সবচেয়ে ভয়ংকর ছিল অদ্ভুত গন্ধ। মাঝেমধ্যে পচা ফুলের বা পুরোনো রক্তের মতো এক তীব্র গন্ধ ভেসে আসছিল, যা তাদের বমি বমি ভাব এনে দিচ্ছিল, আর তাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। এই গন্ধগুলো হঠাৎ করেই আসত এবং হঠাৎ করেই অদৃশ্য হয়ে যেত, যেন অদৃশ্য কোনো সত্তা তাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। কখনও কখনও তারা পুরোনো ধূপের গন্ধও পেত, যা দেখে মনে হচ্ছিল যেন কোনো পুরোনো পূজা বা আচারের গন্ধ, যা বহু বছর আগে এই বাড়িতে করা হয়েছিল, আর সেই গন্ধগুলো তাদের মনে এক অদ্ভুত বিষণ্ণতা তৈরি করছিল। জমিদার বাড়ির পূর্বপুরুষদের প্রতিকৃতিগুলো যেন তাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। হলঘরে জমিদার পরিবারের বিভিন্ন প্রজন্মের প্রতিকৃতি টাঙানো ছিল। তাদের চোখগুলো থেকে এক অদ্ভুত শূন্যতা ঠিকরে বেরোচ্ছিল, যা দেখে মনে হচ্ছিল তারা যেন জীবন্ত, আর তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। এক রাতে, রনি যখন হলঘরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, তখন তার মনে হলো একটি প্রতিকৃতির চোখ তাকে অনুসরণ করছে। সে দ্রুত টর্চ জ্বেলে তাকাল, কিন্তু প্রতিকৃতিটি স্থির ছিল। সে ভাবল হয়তো তার মনের ভুল, কিন্তু তার মনে এক অজানা ভয় কাজ করছিল। তার হৃদপিণ্ড দ্রুত স্পন্দিত হচ্ছিল, যেন সে কোনো অদৃশ্য বিপদ অনুভব করছিল, আর তার শরীর কাঁপছিল। ডায়েরির লেখাগুলো যত তারা পড়ছিল, ততই তারা বুঝতে পারছিল যে জমিদার পরিবারের করুণ পরিণতির পেছনে এই অভিশপ্ত ধনই দায়ী। রণজিৎ রায়চৌধুরী ডায়েরিতে লিখেছিলেন কীভাবে তার পরিবার ধনের লোভে পড়ে একের পর এক অস্বাভাবিক ঘটনার শিকার হয়েছিল। তার বাবা, মা, ভাই-বোন – সবাই একে একে রহস্যজনকভাবে মারা গিয়েছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন, এই ধনই তাদের ধ্বংসের কারণ। ডায়েরিতে তিনি তার ছোট বোন রাধার মৃত্যুর বর্ণনা দিয়েছিলেন, যা ছিল অত্যন্ত মর্মান্তিক। রাধা নাকি রাতে ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে উঠত, আর তার গায়ে অদ্ভুত কালো দাগ দেখা যেত, যা কোনো সাধারণ রোগের লক্ষণ ছিল না, বরং এক অদৃশ্য অভিশাপের চিহ্ন। রণজিৎ বিশ্বাস করতেন, এই অভিশাপই তাদের পরিবারকে গ্রাস করছে, আর তাদের মুক্তি নেই, শুধু যন্ত্রণা আছে। রনি অবশ্য তখনও গুপ্তধনের নেশায় মগ্ন। সে ডায়েরির অভিশাপের কথাগুলোকে পাত্তা দিচ্ছিল না। “এসব শুধু পুরোনো দিনের কুসংস্কার! হয়তো জমিদার নিজেই পাগল হয়ে গিয়েছিল, বা কোনো মানসিক রোগে ভুগছিল। আমাদের তো কিছু হচ্ছে না! এসব শুধু ভয় দেখানোর জন্য, যাতে আমরা গুপ্তধন না পাই।” সে বলল। তার চোখে লোভের উন্মাদনা ক্রমশ বাড়ছিল। সে বাড়ির প্রতিটি কোণ, প্রতিটি দেয়াল খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিল, গুপ্তধনের আরও কোনো সূত্র খুঁজে বের করার আশায়। সে প্রায়শই একা একা বাড়ির ভেতরে ঘুরে বেড়াত, যা মিতুর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মিতু তাকে বারবার নিষেধ করত, “রনি, একা যেও না। এটা বিপজ্জনক হতে পারে। তোমার কিছু হলে আমরা কী করব? আমরা এখানে তোমার জন্য মরতে আসিনি।” কিন্তু রনি তার কথা শুনত না, তার মনে তখন শুধু গুপ্তধন, আর তার চোখগুলো সেই ধনের ঝলকে অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মিতু প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গিয়েছিল। সে বারবার বন্ধুদের ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছিল। “আমরা আর এখানে থাকতে পারব না। এটা নিরাপদ নয়। আমরা যে কোনো মুহূর্তে বিপদে পড়তে পারি। আমার মনে হচ্ছে, বাড়িটা আমাদের ভেতরে টেনে নিচ্ছে, আর আমরা এখান থেকে বের হতে পারব না। আমি এখানে আর এক মুহূর্তও থাকতে চাই না।” তার চোখমুখ ভয়ে ফ্যাকাশে হয়ে গিয়েছিল। সে প্রায়শই দুঃস্বপ্ন দেখত এবং রাতে ঘুমোতে পারত না। তার মনে হতো যেন অদৃশ্য কোনো হাত তাকে স্পর্শ করছে, বা কেউ তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে, তার নিঃশ্বাস অনুভব করছিল, আর তার কানের কাছে ফিসফিস করে কিছু বলছে। আকাশ অবশ্য রহস্য সমাধানে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল। সে বিশ্বাস করত, এই অশরীরী কার্যকলাপের পেছনে কোনো যুক্তি বা কারণ আছে। সে ডায়েরির প্রতিটি শব্দ বিশ্লেষণ করছিল, জমিদার পরিবারের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করছিল। সে বুঝতে পারছিল, আত্মারা তাদের ভয় দেখাতে আসেনি, বরং কিছু বলতে চাইছে, হয়তো কোনো বিপদ থেকে সতর্ক করতে চাইছে। সে সোহিনীর সাথে কথা বলছিল, তার অনুভূতিগুলো বোঝার চেষ্টা করছিল। আকাশ অনুভব করছিল, এই বাড়িটি একটি বইয়ের মতো, যার প্রতিটি পাতা রহস্যে ভরা, আর তাদের কাজ হলো সেই রহস্যের সমাধান করা, আর সেই সত্যকে উন্মোচন করা। সোহিনী অনুভব করছিল, তাদের চারপাশে এক অদৃশ্য প্রাচীর রয়েছে, যা তাদের গুপ্তধনের দিকে এগোতে বাধা দিচ্ছে। সে প্রায়শই ধ্যান করত এবং আত্মাদের সাথে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করত। একসময় সে অনুভব করল, আত্মারা তাদের কাছে সাহায্যের জন্য আসছে, তারা চায় না যে তারা একই ভুল করুক। সোহিনী প্রায়শই অস্পষ্ট চিত্র দেখতে পেত – আগুন, চিৎকার, আর মানুষের আর্তনাদ। এই চিত্রগুলো তাকে জমিদার পরিবারের শেষ রাতের ভয়াবহতা সম্পর্কে ইঙ্গিত দিচ্ছিল। সে দেখতে পেত, কীভাবে জমিদার পরিবারের সদস্যরা ধনের লোভে পড়ে একে অপরের সাথে ঝগড়া করত, আর কীভাবে সেই লোভ তাদের ধ্বংসের কারণ হয়েছিল। সে অনুভব করছিল, আত্মারা মুক্তি চাইছে, আর তাদের মুক্তি দিতে পারলেই এই অভিশাপের অবসান হবে, আর তারা শান্তি পাবে। বন্ধুদের মধ্যে ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছিল। রনির লোভ আর মিতুর ভয় তাদের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়ার কারণ হয়ে উঠছিল। রনি মিতুকে বলত, “তুমি বড্ড ভীতু। এত ভয় পেলে কি আর অ্যাডভেঞ্চার হয়? তুমি শুধু নেতিবাচক কথা বলো, আর আমাদের মনোবল ভেঙে দাও।” মিতু উত্তর দিত, “অ্যাডভেঞ্চার আর আত্মহত্যার মধ্যে পার্থক্য আছে, রনি! তুমি তোমার লোভের জন্য আমাদের জীবন বিপদে ফেলছো। আমরা এখানে মরতে আসিনি।” আকাশ চেষ্টা করছিল সবাইকে শান্ত রাখতে এবং যুক্তিসঙ্গতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে। সোহিনী তাদের মধ্যে এক অদ্ভুত সংযোগ স্থাপনকারী হিসেবে কাজ করছিল, কারণ সে একমাত্র ব্যক্তি যে অশরীরী জগতের সাথে যোগাযোগ করতে পারছিল। একদিন রাতে, যখন তারা সবাই একত্রিত হয়ে ডায়েরি পড়ছিল, হঠাৎ করেই তাদের টর্চগুলো নিভে গেল। পুরো কক্ষ অন্ধকারে ডুবে গেল। বাইরে থেকে এক তীব্র কান্নার আওয়াজ ভেসে এল, যা শুনে তাদের হাড়হিম হয়ে গেল। মনে হচ্ছিল যেন অসংখ্য মানুষ একসাথে কাঁদছে, তাদের আর্তনাদ বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে, আর তাদের হৃদপিণ্ডকে কাঁপিয়ে তুলছে। তারা ভয়ে একে অপরের হাত ধরেছিল। সোহিনী তার চোখ বন্ধ করে অনুভব করার চেষ্টা করল। সে দেখল, জমিদার রণজিৎ রায়চৌধুরীর আত্মা তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে, তার মুখ থেকে এক গভীর দুঃখ আর হতাশা ঝরে পড়ছে। আত্মাটি তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করছিল, কিন্তু তার শব্দগুলো অস্পষ্ট ছিল, যেন সে কোনো অদৃশ্য প্রাচীরের ওপার থেকে কথা বলছে। আত্মাটি যেন তাদের কাছে সাহায্য চাইছে, মুক্তি চাইছে, আর তাদের চোখে ছিল এক গভীর আকুতি। আকাশ দ্রুত তার ফোন বের করে আলো জ্বেলে দেখল। কান্নার আওয়াজ থেমে গেছে, আর কক্ষটি আবার শান্ত হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের মনে এক গভীর ভয় আর অজানা আতঙ্ক বাসা বেঁধেছিল। তারা বুঝতে পারছিল, এই বাড়িটি শুধু একটি পরিত্যক্ত বাড়ি নয়, এটি এক জীবন্ত প্রেতপুরী, যেখানে অতৃপ্ত আত্মারা তাদের শেষ বার্তা নিয়ে অপেক্ষা করছে। তাদের এই অভিজ্ঞতা তাদের জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হতে চলেছে, যা তাদের অস্তিত্বের ধারণাকেই বদলে দেবে, আর তাদের মনে এক নতুন সত্য উন্মোচন করবে। (চলবে)

Share this story

Comments

Discussion

No comments

Please sign in to join the discussion